ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট 

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১১ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৭:৩২, ১১ আগস্ট ২০২১
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট 

চিরচেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা। রাস্তায় অফিসগামী হাজারও মানুষ। পরিবহন সংকটে দিশেহারা অনেকেই। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, রিকশা করে অফিসে বা কর্মস্থলে যাচ্ছেন অনেকে। বিভিন্ন সড়কে যানজট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত গণপরিবহন।

রাজধানীর নিউমার্কেট, শাহবাগ, বাংলা মটর, ফার্মগেট, মহাখালী ঘুরে বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে।

মহাখালী ডিওএইচএস এর বায়িং অফিসে যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি আমিনুল। তার বাসা হাতিরপুলে। আরেকজন যাত্রী মনিরুজ্জামান। যাবেন উত্তরায়। তিনিও দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর বাসে উঠতে পারেননি।

রাস্তায় বাস থাকলেও সবগুলো শুরুর স্টপেজ থেকে যাত্রী বোঝাই করে ছাড়ছে। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকায় কোনো বাসই মাঝপথে দাঁড়াচ্ছে না। অর্ধেক গণপরিবহন চলাচল এবং দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকাতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

ফার্মগেট আনন্দ সিনেমার হলের সামনে গরমের মধ্যে রাস্তায় বেশ কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। যাবেন কর্মস্থলে। এসব যাত্রীরা যাবেন মিরপুর, মহাখালী ও উত্তরায়। একটি করে বাস আসছে, আর সবাই চলন্ত বাসের দিকে দৌঁড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু উঠতে পারছেন না। সবগুলো বাসই যাত্রী বোঝাই হয়ে আছে।

মতিন রহমান, আবদুর রাজ্জাক, শামীম হোসেন নামে তিন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। এদের একজন উত্তরা আর বাকী দুজন যাবেন মিরপুর পল্লবীতে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো বাসে উঠতে পারেননি বলে জানান তারা। অটোরিকশা যে পরিমাণ টাকা চাচ্ছে, সেটা দেওয়ার সামর্থ‌্য তাদের নেই বলেও জানান।

১৯ দিন পর লকডাউন শেষ হওয়ার পর আজ সকাল থেকেই সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, রিকশার চাপ বেশি। আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলছে অর্ধেক গণপরিবহন। রাস্তায় চলাচলকারী এসব পরিবহন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। 

শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ। ১৯ দিন পর আজ লকডাউন উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন পর্যাপ্ত পরিমাণে বের হয়েছে। আমরা যারা রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি, তাদের এক মিনিটও বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। এই রোদ-বৃষ্টিতেও সমানভাবে সবাই নিজ নিজ ডিউটি পালন করছেন।’

রমনা জোনের সহকারী কমিশনার নূর নবী বলেন, ‘দেখতেই পাচ্ছেন রাস্তার অবস্থা। অজস্র গাড়ি চলছে। এদের সামলাতে গিয়ে আমাদের লোকজনের অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে। রোদ-বৃষ্টিতেও সমানতালে সবাই কাজ করছেন। নিজেদের কষ্ট হলেও রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবাই চেষ্টা করছি।’

মেসবাহ য়াযাদ/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়