কর্মমুখর সচিবালয়
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিধিনিষেধ ১৯ দিন পর প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে আগের রুপে ফিরে এসেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের নিচে লিফটের সামনে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ডেস্কেই কর্মকর্তা ও কমচারীরা বসে কাজ করছেন। সচিবালয়ে গাড়ির চাপ সামলাতে পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন।
দর্শনার্থীর পাস বন্ধ থাকলেও সচিবালয়ে করোনাভাইরাসের টিকাকেন্দ্রে টিকা কার্ড নিয়ে এসেছেন অনেকেই।
সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য অধিদফতর, ভূমি মন্ত্রণালয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, এসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মূলত পারস্পরিক খোঁজ-খবর ও শুভেচ্ছা বিনিময়েই ব্যস্ত রয়েছেন।
সচিবালয়ে ১১টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ছাড়াও দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেলা ১২টায় ক্লিনিক ভবনের সামনে তথ্য অধিদপ্তর আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেখানে অনেক ভিড় দেখা গেছে।
সচিবালয়ের ক্লিনিকে কর্মচারী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরাও করোনাভাইরাসের টিকা দিতে এসেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যে অফিস খোলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে জোর দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মন্ত্রণালয়ের করিডোরের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়।
একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবারের লকডাউন চলাকালে অনেকেরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। কারণ আদেশ ছিল কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি অফিস-আদালত চালু হয়েছে। তবে পুরোদমে চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
আসাদ/এসবি
আরো পড়ুন