‘চার বছরে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ’ 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে চার বছর মেয়াদ (২০২০ - ২০২৪) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘অনাবাদি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে আবাদি এলাকা বাড়ানো ও আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করে মোট উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২ দশমিক ৩৮ লাখ হেক্টর জমিতে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫৩ লাখ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৫ দশমিক ৬১ লাখ টন এবং ২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৬২ লাখ টন উৎপাদন হয়।’

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস‌্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কয়েক বার সারের দাম কমানো হয়েছে। বর্তমানে টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা এবং এমওপি সার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারে ভর্তুকির পাশাপাশি সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বাবদ রিবেট, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইক্ষু চাষে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত কৃষক লাভবান হচ্ছে।’

তিনি বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশককে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশকের বিপরীতে জৈব বালাইনাশক জনপ্রিয়করণে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’