ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  
‘বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজমান।  ১৯৭২ সালে এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কানাডা। বাংলাদেশের ভালো বন্ধু কানাডা।  দুই দেশেই গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিরাজমান। আশা করি এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার অটোয়ার হাইকমিশনে সংবর্ধনার জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অটোয়ার হাইকমিশনার ডা. খলিলুর রহমানসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কানাডায় সফররত প্রতিমন্ত্রী অটোয়া হাইকমিশন অফিসে গেলে সেখানকার কমিশনারসহ কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

কানাডাকে চমৎকার বন্ধু প্রতীম দেশ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার আইনের প্রয়োগ ইত্যাদির মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত এ দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক মূলত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, উন্নয়নমূলক সহযোগিতা, অভিবাসন প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রাখে।  বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে কানাডার উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে পুনর্বাসন কার্যক্রমে উল্লেখ্যযোগ্য সহযোগিতা করে। গণতন্ত্র ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উদ্যোগ ও স্পৃহাকে বরাবরই কানাডা প্রশংসা করে এসেছে।

মুরাদ হাসান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে এবং দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন নিরাপদ দেশ, যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান, দেশে এখন একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। যেখানে যেকোনো ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিবেশ রয়েছে এ ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা করছে।

‘বাংলাদেশের সাথে কানাডার বাণিজ্যে সম্ভাবনার খাতগুলো চিহ্নিত করে কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। দুই দেশের মাঝে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে কাজ করতে হবে হাইকমিশনকে বলেন প্রতিমন্ত্রী। 

কানাডায় হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর বাংলাদেশের এই দুইটি খাতেই রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। কানাডা বাংলাদেশে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করতে ইতোমধ্যে আগ্রহব্যক্ত করেছেন।  

নঈমুদ্দীন/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়