‘চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ধানের মজুত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ধানের মজুত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারা দেশে ২০০ সাইলো নির্মাণ ছাড়াও খাদ্যগুদামগুলো মেরামত করে মজুত সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি এবং বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ‌্য জানান। নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ওয়েবিনারে যুক্ত হন খাদ‌্যমন্ত্রী।

তিনি কৃষক ও ভোক্তার জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রাইস কমিশন গঠনের ওপর গুরত্ব আরোপ করেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বাজার মনিটরিংয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা ও খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা।’

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনে। মধ্যস্বত্বভোগীদের খাদ্য গুদামে প্রবেশাধিকার নেই। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম‌্য রোধে ফুড গ্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।'

খাদ‌্যমন্ত্রী মনে করেন, ব্যবসায়ীদের মুনাফার প্রতি অতি লোভের কারণে মাঝে মাঝেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। মূল্য কমিশন গঠন করা হলে ব্যবসায়ীদের এ প্রবণতা কমবে।

অবৈধ মজুতদারদের কারসাজি রোধে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের দেশীয় অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন।

ওয়েবিনারে খাদ্য ও কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ছাড়াও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।