ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ২৮ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৫, ২৮ অক্টোবর ২০২১
‘আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে সকল জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। গুচ্ছভিত্তিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে হবে আবাসিক এলাকা, কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। যেন সব মানুষ এক জায়গায় সুবিধাগুলো পায়। আর মাস্টার প্ল্যান করলে ঐভাবে করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর দেশ উপহার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সকল অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। এতে করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সুয়ারেজের লাইন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। মানুষকে গ্রামে রাখতে হলে সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা যেমন-কর্মসংস্থান, ব্যাংক-বিমা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ স্যানিটেশনসহ সকল ধরনের সুবিধা সরবরাহ করতে হবে। দেশের বড় বড় শহর-নগরের মত গ্রামগুলোকে ক্ষতবিক্ষত হতে দেওয়া যাবে না।

গ্রামগঞ্জে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোনো অনিয়ম করলে তাদেরকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

শহর-নগরের ন্যায় গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শহরের সকল আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন গ্রহণ করেছেন। এই দর্শন বাস্তবায়নের পর গ্রাম শহরের কোন বৈষম্য থাকবে না। এ সময় সবাইকে কেন রাজধানী ঢাকাসহ শহরে থাকতে হবে এমন প্রশ্নও উত্থাপন করেন মন্ত্রী।

আধুনিক কৃষি চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদে উৎপাদন বেড়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ও বগুড়ায় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুই জায়গায় সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। এখন দেশের প্রতিটি সংসদ সদস্যর মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিতে অনেক বড় সাফল্য আসবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ।

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়