ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সুপেয় পানির অভাব পূরণে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ২ ডিসেম্বর ২০২১  
সুপেয় পানির অভাব পূরণে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সুপেয় পানির অভাব পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎসকে কাজে লাগাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে সুপেয় পানি সরবরাহে ওয়াটার গ্রিড লাইন স্থাপনের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে স্টাডি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে আইটিএন-বুয়েট আয়োজিত ‘শহরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনের প্রসার এবং স্যানিটেশন উদ্ভাবন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাসহ মানুষের উন্নত জীবনব্যবস্থার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। তাই, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

তিনি জানান, দেশে অনেক অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সেখানে অনেক ধরনের শিল্পকারখানা হবে এবং প্রচুর পানির প্রয়োজন হবে। এখন থেকে যদি পানি সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে পরে সংকট দেখা দেবে। মিরসরাই ইকোনমিক জোনে মেঘনা নদী থেকে পানি তোলা হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে, জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের পানির সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ঢাকা ওয়াসাসহ অন্যান্য ওয়াসা অনেকগুলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে শহরগুলোতে স্যানিটেশন সমস্যা বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, প্রযুক্তিগত উদ্যোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে স্যানিটেশনের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে।’

দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হচ্ছে, দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আবাসিক ভবন ও মেডিক্যালের বর্জ্যসহ সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হব। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রোসান রাজ শ্রেষ্ঠা।

এছাড়া, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বুয়েটের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।                                                                                 

আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়