ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২১  
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় নতুন নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন(অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপির যাত্রা শুরু করেছিলেন, যারা আগাম সতর্ক সংকেত প্রচার এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০ শতাংশই নারী।’ 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশজুড়ে আধুনিক রাডার এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থা আছে। উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি একক সংখ্যায় নেমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছিল, যা সবার কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক সংস্করণ হিসেবে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮ উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।'

পরে প্রতিমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সাড়াদানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সিপিপির ১০৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের (৫৩ জন নারী ও ৫৩ জন পুরুষ) প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মেডেল ও সনদপত্র দেন।

আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়