ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০২১  
‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।  প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৩৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। 

সূত্র জানায়, ঢাকায় জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যার চলাচলের জন্য ঢাকা শহরের বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্ক প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বিশেষত: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে হয়।  এর ফলে ঢাকা মহানগরীতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে। প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়েটি ‘রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসটিপি)’-এ  উল্লেখিত আউটার রিং রোডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।  এটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বালিয়াপুর থেকে শুরু হয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, বন্দর উপজেলা হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও উপজেলার লাঙ্গলবন্দে শেষ হবে। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৯.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ২৪.৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ র‌্যাম্প নির্মাণ করা হবে।

এটি নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুযায়ী চার লেনের এই এক্স্রপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয়ের পরিমাণ ১৬৩৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং প্রকল্পটি অর্থনৈতিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্য।  সমীক্ষায় অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী নিট প্রেজেন্ট ভ্যালু ৯৪৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বেনিফিট কস্ট রেসিও ১.১৭ এবং ইন্টারনাল রেট অব রিটার্ন ১৩.৩ শতাংশ।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা যায় মর্মে পিপিপি কর্তৃপক্ষ মতামত দিয়েছে।  প্রকল্পটি ‘প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন ফর পিপিপি প্রজেক্টস ২০১৮’ এবং ‘পলিসি ফর ইমপ্লিমেন্টিং পিপিপি প্রজেক্ট থ্রো গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট পার্টিসিপেন্ট ২০১৭’ অনুসরণ করে পিপিপি এর যেকোনো একটি মডেল অনুমোদনক্রমে (বিওওটি, বিওটি) বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে এই প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩১৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে।  উক্ত জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ সরকারি খাত থেকে যোগান দেওয়া হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় বিদ্যমান পরিসেবাগুলো স্থানান্তরের ব্যয়ও সরকারি তহবিল থেকে করা হবে।  এসব ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করে একটি সাপোর্ট টু পিপিপি প্রজেক্ট/লিক প্রজেক্ট গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইনস ফর পিপিপি প্রজেক্টস ২০১৮ এর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবানের অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।

হাসনাত/এসবি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়