ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, স্টলের ভাড়া কিস্তিতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১  
বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, স্টলের ভাড়া কিস্তিতে

ফাইল ছবি

একুশে বইমেলা শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্য বছরের মতো বইমেলাকে কেন্দ্র করে এবারও নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তবে এ বছর প্রথমবারের মতো প্রকাশকদের কাছে বরাদ্দকৃত স্টলের ভাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় যাতে ক্রেতা ও পাঠকরা আসতে পারেন, সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।’ 

বইমেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বময় করোনার পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আক্রমণের কারণে যাতে বইমেলা বন্ধ ঘোষণা না করতে হয়, সেজন্য আয়োজক কমিটির তরফ থেকে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বইমেলা নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও বইপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। গত বছর বইমেলা হলেও করোনার কারণে সেভাবে বইমেলায় পাঠক সমাগম হয়নি।  এছাড়া করোনার কারণে মানুষ ঘরবন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। সুতরাং বইমেলা শুরু হলে পাঠক, লেখক, বইপ্রেমীদের প্রাণের স্পন্দন ও পদচারণায় মুখর হবে বইমেলা প্রাঙ্গণ।  সে ভাবনা মাথায় নিয়ে বাংলা একাডেমিও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় ক্রেতা ও পাঠকদের আসার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বইমেলায় ৪৬০টি প্রকাশনী সংস্থা মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের প্রায় সবাই এবারও বইমেলায় অংশ নেবে বলে জানান জালাল উদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশকরা এবার কিস্তিতে স্টলের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন।  করোনাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এনে এবারই প্রথমবারের মতো তাদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর আগে প্রকাশকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এ বছর প্রকাশকরা যাতে কিস্তিতে ভাড়া পরিশোধ করতে পারেন সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো তাদের  সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্টল ভাড়া পরিশোধের সময়সীমাও বৃদ্ধি করে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।  ২০২১ সালে নভেম্বরের শেষে প্রকাশকরা স্টলের জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সময় বাড়ানোর মাধ্যমে প্রকাশকদের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এবং আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও বাংলা একাডেমির বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য ওসমান গণি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বইমেলার জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনার কারণে গত বছর বইমেলা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি। প্রকাশকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগস্ত হয়েছেন।  তারা সারা বছর নানা ধরনের বই প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু বছরজুড়ে আশানুরূপ বই বিক্রি হয় না।  তারা বইমেলার জন্য অপেক্ষা থাকেন। এবারের মেলায় প্রকাশকদের জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।  কয়েক দফা বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

ভাষাচিত্রের স্বত্তাধিকারী খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, বইমেলা নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা করা দরকার। একুশে বইমেলা সারাবিশ্বে আমাদের সুনাম এনে দিয়েছে।  একুশের বইমেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী সারাদেশে বইয়ের মেলা করা দরকার। এ নিয়ে প্রকাশকরা উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি। বাংলা একাডেমিকেও দেশজুড়ে বইমেলার জন্য বছরব্যাপী নানা পরিকল্পনা থাকা দরকার।

মেয়া/এসবি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়