ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম চলচ্চিত্র’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২২  
‘বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম চলচ্চিত্র’

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতে পারে চলচ্চিত্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন ও এতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশি সংস্কৃতির সুউপাদান গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে আরও ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ করার সুযোগ আছে।’

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। নয় দিনব্যাপী (১৫-২৩ জানুয়ারি) এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সে সময় চলচ্চিত্রকেই তারা রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এবং সার্থক হয়েছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবরের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার মিলনায়তনগুলো চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।’

‘২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২২’ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। স্বাগত বক্তৃতা করেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।

‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে আয়োজিত ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এসবের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য ১২৯টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ৯৬টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ৪০টি, যার মধ্যে ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।

উল্লেখ্য, এশিয়ান প্রতিযোগিতা, রেট্রোস্পেকটিভ, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, উইমেন্স ফিল্মমেকার, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র এবং আধ্যাত্মিক চলচ্চিত্র—এই ১০টি বিভাগের অধীনে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।

আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়