ইসি গঠনের আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ: হারুন

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশিদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ গঠনের জন্য তিনি (আইনমন্ত্রী) যে আইনটি উত্থাপন করেছেন  তা প্রশ্নবিদ্ধ। এই আইনে বিগত দুটি নির্বাচন কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে।
 
ইসি গঠন আইনের বিলটি বিরোধী দল ও জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই সংসদ থেকে এই বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
রোববার (২৩ জানুয়ারি)  জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিলের ওপর কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

হারুন বলেন, আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই; এ সার্চ কমিটির মাধ্যমে বিগত যে দুটি নির্বাচন ও ভোটের মধ্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। ওই কমিশনের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে সে জন্য তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির সাংসদ বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে যে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে বাংলাদেশ একটি নির্বাচন কমিশন থাকলে উক্ত বিষয় প্রণীত আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবে। ১১৮ অনুচ্ছেদের ৫ এ বলা আছে, যে কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে বচন কমিশনের কার্যাবলী রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করবে সেইরূপ হইবে। ১২৬ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সহায়তা করা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে কিন্তু তারা কর্তব্য পালন না করলে কী হবে তা বলা হয়নি। সুতরাং এই বিষয়গুলো যাতে আইনে রাখা হয় এটিই ছিল জনগণের, রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি।

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যে আইনটি উত্থাপন করেছেন এই আইনে অতীতে দুটি নির্বাচন কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এ আইন প্রশ্নবিদ্ধ। এতে বর্তমান সংকটের কোনো সমাধান হবে না। তাই আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত। প্রত্যাহার করুন।