সম্পর্ক উন্নয়নে ওয়াশিংটনের নতুন প্রস্তাবে ঢাকা সম্মত
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া ডায়লগ, দু’দেশের আটকে থাকা ইস্যু ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়মিত মনিটরিং করার প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন। আর ওয়াশিংটনের এ প্রস্তাব নীতিগতভাবে মেনে নিতে কোনো সমস্যা দেখছে না ঢাকা।
বুধবার (১৮ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এটা প্রথম কল অন ছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। মূল আলোচনায় ছিল সামনে যে ‘ইকোনমিক ডায়লগ’ আসছে, সেটার প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ডেলিগেশনে কারা থাকবেন। তারা তাদের প্রস্ততি কথা বলেছেন।
আগামী জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইকোনোমিক ডায়লগ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এছাড়া ওনার দিক থেকে একটা প্রস্তাব আসছে। ইতোমধ্যে যে ডায়লগগুলো হয়েছে এবং সামনে যেসব ডায়লগ হবে সেগুলোর টাইম-টু-টাইম ফলো আপ করার একটা মেকানিজম বা দুই দেশের মধ্যে যেসব ইস্যুজ রয়েছে বা পেন্ডিং ইস্যুজগুলো বা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আমরা একটা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মেকানিজম করতে পারি বা করা যেতে পারে কিনা। সেটা তারা প্রস্তাব করেছে। এটা নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে কোনো সমস্যা দেখি না। কারণ, ডায়লগ করেই গেলাম এটার রেজাল্ট কি এলো সেটাও দেখা দরকার।’
পররাষ্ট্রসচিব জানান, এটা হয়তো জুলাই মাস থেকে আমরা করবো। অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের আছে। জাপান বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আছে। এটা হলে বিভিন্ন ইস্যুজগুলোতে কোথায় কোথায় আটকে আছে, সেগুলো আমেরিকা না বাংলাদেশে সেটার বের করা যাবে।
আলোচনার বিষয়বস্তু সর্ম্পকে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমাদের বিজনেস কমিউনিটির যে সমস্ত ইস্যুজগুলো রয়েছে, ওদের এখানে ইনভেস্টমেন্ট, আমাদের এখানে এক্সপোর্ট এ সমস্ত প্রাসঙ্গিক যতো বিষয় আছে সবই থাকবে। তাদের যে সমস্যাগুলো তারা চিহ্নিত করেছে পাশাপাশি লেবার ইস্যুজ এবং ট্রেড ইউনিয়ন ইস্যুজ আছে সেগুলো হয়তো সাইড লাইনে আলোচনা হবে।’
এ সময় পররাষ্ট্রসচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি ইকোনোমিক ডায়লগে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল যে রিসোর্সগুলো আছে সেগুলো আমরা এক্সপ্লোর করছি এবং বেশ কিছু দূর এগিয়েছি।’
লেবার ইস্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি চলছে। ইইউর সঙ্গে আমরা নিয়মিত বসছি। তাছাড়া আমরা আইএলও’র সঙ্গে বসছি। আমরা একটা রোডম্যাপও দিয়েছি এবং আমাদের কিছু কমিটমেন্ট আছে। ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ইমপ্লিমেন্ট করছি। সুতরাং আমরাও বসে নেই। পররাষ্ট্র, লেবার, বাণিজ্য, আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিবরা টাইম টু টাইম এ ব্যাপারে বসছে। প্রাইভেট সেক্টর যারা স্টেক হোল্ডার আছে তাদের সঙ্গেও বসি। আমরা কাজ করছি।
হাসান/আমিনুল
আরো পড়ুন