ই-কমার্সে ইকোসিস্টেম গড়তে সহায়তা করবে সিঙ্গাপুর

বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন এবং এ খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সিঙ্গাপুর। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ আশ্বাস দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিষয়ে আজ সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ আলোচনা সভা হয়।

সভায় উভয় দেশের পাস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এ খাতে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। 

এছাড়া, ই-কমার্স খাতে পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক তথ্যের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্বস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ক্রসবর্ডার পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও এটিএম কার্ড ব্যবহারে দেশে ই-কমার্সেরও ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্সের আকার ছিল ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা করোনা মহামারিতে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ দেশীয় ই-কমার্সের বাজার ২৫ হাজার কোটিতে পৌঁছাতে পারে।

এ সময় সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ম্যাগডালিন লো, সহকারী পরিচালক ভেরোনিক ব্যান, বিশ্লেষক ইউ জিন ই, সিঙ্গাপুর কাস্টমসের নেটওয়ার্ক ট্রেড প্ল্যাটফর্ম (এনটিপি) অফিসের সিনিয়র অফিসার আমালিনা বিনতে কোমারিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স গ্লোবাল অ্যাডভাইজার সৌম্য বসু, প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর শেখ লিমা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী চার দিনব্যাপী ‘অ্যাপাক ডিজিটাল ইনোভেশন সম্মেলন-২০২২’ এ যোগ দিতে গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে গেছেন।