ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ব্যক্তি মালিকানায় হাট-বাজার বসালে নিয়ে নেবে সরকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৯ মে ২০২২  
ব্যক্তি মালিকানায় হাট-বাজার বসালে নিয়ে নেবে সরকার

প্রতীকী ছবি

ব্যক্তি মালিকানায় কোথাও হাট-বাজার স্থাপন করা হলে তা সরকার অধিগ্রহণ করবে। আইন অনুযায়ী কেউ সরকারি খাস জমিতে হাট-বাজার স্থাপন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে)  মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। স্থানীয় হাট-বাজারের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে।

‘এটা আগে একটা অর্ডিন্যান্স ছিল, ১৯৫৯ সালের। এটাকে যুগোপযোগী করে আইন বানানো হয়েছে। এখানে প্রায় ২৬টি ধারা আছে। এই আইনের বিধান ছাড়া কোথাও কোনো হাট-বাজার বানানো যাবে না। হাট-বাজার যদি বানানো হয় তাহলে সরকার খাস জমি হিসেবে নিয়ে নেবে।’

উদাহরণ দিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার নিয়ে মোহন মিয়ার একটি মামলা ছিল সরকারের সঙ্গে। উনি তখন কোর্টে গিয়ে জিতলেন যে, এটা আমার ব্যক্তিগত হাট-বাজার; এটা খুব বিখ্যাত একটি মামলা। পরবর্তীতে সরকার ডেফিনিশন পরিবর্তন করে বললো যে, যেখানেই কেউ হাট-বাজার বসাবে, সেটা খাস জমি হয়ে যাবে। এখনো সরকারের পারমিশন ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। এখানেও আগের ডেফিনিশন স্ট্যান্ড করবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অনুমতি দেবে।

তিনি বলেন, হাট-বাজারের কোনো জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা যাবে না। তবে এ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসক অস্থায়ীভাবে একজনের বিপরীতে সর্বোচ্চ আধা শতক জায়গা প্রদান করতে পারবেন। এর বেশি একজনকে দেওয়া যাবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বছরে যদি একদিন হাট-বাজার বসে সেটা অন্য কথা বা কেউ যদি মেলা বসায়; কিন্তু স্থায়ীভাবে হাট-বাজার হিসেবে যদি বসে তাহলে সরকার এটা নিয়ে নেবে।

খসড়া আইন অনুযায়ী হাট বাজারের সংজ্ঞা নিয়ে তিনি বলেন, হাট ও বাজার অর্থ যে স্থানে জনসাধারণ কর্তৃক দৈনিক অথবা সপ্তাহের নির্দিষ্ট কোনো দিন কৃষিপণ্য, ফলমূল, হাঁস-মুরগি, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় পণ্য বা অন্য কোনো পণ্য বা শিল্পজাত পণ্য ও দ্রব্যাদি ক্রয় বিক্রয় হয় এবং সেই স্থানে ক্রয় বিক্রয়ের জন্য স্থাপিত দোকানের অন্তর্ভুক্ত হবে।

এএএম/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়