‘বঙ্গবন্ধু বাংলার সবখানে ছিলেন, থাকবেন’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ, স্বপ্ন, কর্মকাণ্ড বাংলার প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের মনে রয়ে গেছে। তিনি সকল ভালো কাজের সঙ্গে ছিলেন, থাকবেনও। বাংলাদেশের মানুষ চিরদিন তাকে বুকে লালন করবেন’।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যারা ষড়যন্ত্রকারী, তারা সবসময় আশপাশেই থাকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীরাও সবসময় বঙ্গবন্ধুর আশপাশেই থেকেছে। সর্বশেষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারী কারা? যারা খুব বেশি কাছাকাছি ছিল। যারা বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে একজন ব্যক্তি হিসেবে হত্যা করা হয়নি; তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে দেশের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত করার জন্য। দেশের স্বাধীনতাকে নষ্ট করার জন্য। এমনকি দেশের মানুষের অধিকারকে খর্ব করার জন্য। এখনও দেশের বিরাট একটা অংশ বঙ্গবন্ধুকে মানে না। এমনকি তারা জয় বাংলাও বলে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাস্থ্যখাতে অনেক কিছু করে গেছেন। বিএসএমএমইউ, বিএমডিসি, নিপসম, বিএমআরসিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান করেছেন। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দেশ গঠনে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে, তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্যখাতকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। শাহবাগ হোটেলকে পিজি হাসপাতাল (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) বানিয়েছেন। সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছেন। সেই বঙ্গবন্ধু আছেন আমাদের জীবনে, থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। যদিও জীবনের বেশি সময় তিনি জেলে থেকেছেন। আবার আমি পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে থাকতাম বলে কম দেখা হতো। তবে তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ, নেতা, রাজনীতিবিদ, বাবা ও রাষ্ট্রনায়ক। অথচ সেই মানুষটিকে বিশ্বাসঘাতকরা স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় সপরিবারে খুন করে। আমরা এমনই অকৃতজ্ঞ জাতি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং বিশিষ্ট চিকিৎসকবৃন্দ।
মেয়া/এনএইচ
আরো পড়ুন