ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

২০৪১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় অন্তরায় মাদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৭:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
২০৪১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বড় অন্তরায় মাদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সবকিছুই ভেস্তে যেতে পারে; যদি না মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি। চাহিদা হ্রাস এবং এর কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিরিডাপ মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা শীর্ষক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী। সেই প্রজন্মকে যদি মাদক থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্ন অবাস্তবই থেকে যাবে। মাদকের চাহিদা কমাতে হলে মিডিয়ার  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি দেশ থেকে মাদকাসক্ত কমানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা একজন মাদকাসক্তকে চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সিলিং এবং তার ভেতরে সচেতনতা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাদকের ভয়াবহতা, এর কুফলের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।  মাদক যেন কাউকে নতুন করে গ্রাস না করতে পারে সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

সীমান্ত দিয়ে মাদক যেন প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য বিজিবি তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সীমান্তে অতন্ত্র প্রহরীরা কাজ করে যাচ্ছে। যেন চোরাই বা অন্য কোনও উপায়ে এদেশে মাদক প্রবেশ না করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মাদক আসছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, আইস, গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক যেন এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ওইসব দেশগুলোর সহযোগিতাও দরকার। কিন্তু তারা সেভাবে না করায় এক শ্রেণীর মাদক কারবারি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা প্রতিনিয়ত এ দেশে অবৈধভাবে মাদক নিয়ে আসছে। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে নেই। তারা প্রতিনিয়তই মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মাদক এবং বিক্রেতা ও সেবনকারীকে আটক করে আইনে সোপর্দ করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, সবার আগে দরকার নিজ সন্তান সঠিক পথে আছে কিনা। এটা অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন। সন্তান কী করছে, কীভাবে সময় কাটাচ্ছে; কথা বলছে- বিষয়গুলো অভিভাবকদেরই সচেতনভাবে সজাগ দৃষ্টিতে রাখতে হবে। তাহলে অনেকাংশে মাদকসেবীর সংখ্যা কমে আসবে। পাশাপাশি মাদকের চাহিদাও কমে যাবে। আর চাহিদা কমলে সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাবে।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়