ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বড় কষ্ট মিডিয়ার ওপর: গার্মেন্টসকর্মী মুক্তাবানু

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ২৪ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৪:৪৯, ২৪ নভেম্বর ২০২২
বড় কষ্ট মিডিয়ার ওপর: গার্মেন্টসকর্মী মুক্তাবানু

‘কথা বলে কী হবে। গরীবের দুঃখ কেউ বোঝে না। ভালো আছি, সুখে আছি। মরে গেলে কার কী?’ ক্ষোভের সাথে কথাগুলো বলছিলেন মুক্তাবানু। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ ঝাড়লেন আর বললেন, ‘২৪ তারিখ আসলে মিডিয়ার লোকজন খবর নেয় তাদের প্রয়োজনে। পরে আবার ভুলে যায়। আমাদের তাতে কোনও লাভ হয় না। বড় কষ্ট মিডিয়ার ওপর।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকা জেলার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে নির্মমভাবে ১১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন ১০৪ শ্রমিক। তাদের মধ্যে একজন গার্মেন্টসটির শ্রমিক মুক্তাবানু। জীবন নিয়ে বাঁচলে আহত হন তিনি। 

পড়ুন: তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

মুঠোফোন রিসিভ করতেই মুক্তাবানু বলেন, ‘কী জন্য ফোন দিছেন। মালিক দেলোয়ার কি মরে গেছে? ২৪ তারিখ আসলে সবাই স্মরণ করে। এরপর ভুলে যায়। সকাল ৭টার (মঙ্গলবার) সময় আশুলিয়া থেকে হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। এখন রাত ৮টা বাজে, বাসায় যেতে পারিনি। দেখেন তাহলে আমাদের জীবন কেমন চলছে। মিডিয়ায় অনেক কথা বলেছি, লাভ নেই। প্রতিদান পাইছি। আর বলতে চাই না। এখন ঘৃণা এসেছে। মিডিয়ার সামনে আসার আর কোনও ইচ্ছা নাই। কথা বললে কি কোনও ফল হবে? আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি মালিককে খালাস করিয়ে আনবো। আমাদের পাশে কেউ নাই। এটা করা ছাড়া আমাদের আর কী আছে। স্বেচ্ছায় তাকে খালাসের আবেদন করবো। আমাদের কোনও দাবি-দাওয়া নাই।’

‘বড় কষ্ট মিডিয়ার কাছে। তারা আমাদের কথাগুলো ঠিকমত তুলেও ধরে না। আমরা যখন প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেছিলাম, তখন তারা আমাদের কষ্টগুলো তুলে ধরেনি। অনেকে আবার টাকাও নিয়েছে।’

পড়ুন: তাজরীন ট্র্যাজেডি মামলা, ১০ বছরেও শেষ হয়নি বিচার

অভিযোগ করে মুক্তাবানু আরও বলেন, ‘১০ বছর ধরে কী পেয়েছি। আইএমএফ চিকিৎসাবাবদ দেড় লাখ টাকা দিছে। আর কেউ কোনও সাহায্য সহযোগিতা করেনি। এখন আমরা অনেক ভালো আছি। আমাদের কোনও কষ্ট নাই। কাজ পাই না। না খেয়ে মরে যাবো। তাতে তো কারও কিছু যায় আসে না!’ 

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়