কর্মকর্তাদের তালিকার চিঠি নিয়ে বিতর্ক, মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
প্রতিবছর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হয়। এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অধীনে থাকা ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্ম সচিব বা সমমর্যাদাসম্পন্ন ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থায় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
গত ২৯ আগস্ট বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে পাঠানো হলেও, বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে প্রেরণ করা হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় প্রেরিত পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট জারি করা চিঠি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কী কারণে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার সংশোধনী দিয়ে চিঠি ইস্যু করে এই মন্ত্রণালয়।
আসাদ/এনএইচ