ঢাকা     শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে: রুশ দূতাবাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে: রুশ দূতাবাস

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প কলঙ্কিত, এমন বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ঢাকা-মস্কোর সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকাস্থ রাশিয়ার দূতাবাস।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রুশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের নজরে এসেছে যে, রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। যদিও এই ভিত্তিহীন বিবৃতিগুলোকে খণ্ডন করার জন্য রোসাটম স্টেট কর্পোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ জারি করেছে। এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রপ্তানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়ার দেওয়া ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। এই পরিমাণের অন্তর্ভুক্ত দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে দুটি ঋণ—২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়) এবং ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় রপ্তানি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।

রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না, তার প্রমাণ হলো, রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি স্থানান্তর করা হয় না। রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে দেওয়া যে কোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়। রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে দেওয়া নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট ভিইবি-আরএফ  সেই নথিগুলো অনুমোদন করে। রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

আরও বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যারা রূপপুর এনপিপিতে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল ও পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করতে চেষ্টা করে।

হাসান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়