সাইফের আরেকটি ডাবল
ছবি : রেজাউল করিম
তানবীর হায়দারের বল ব্যাটে লাগিয়ে দৌড়ে দুই রান নিলেন সাইফ হাসান। পরের বল ডট। ওই ওভারের তৃতীয় বলে আবারও দুই রান।
১৯৮ থেকে সাইফ পৌঁছে গেলেন দুইশতে। আগের দিন ১২০ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ ছিলেন। পায়ে খানিকটা টান লাগায় নিজেকে সরিয়ে নেন শেষ সেশনে।
চট্টগ্রামে শুক্রবার আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান সুমন খান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আসেন সাইফ। দৃঢ়চেতা সাইফ চা বিরতির পর তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় ডাবল। এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে এই জাতীয় ক্রিকেট লিগেই ঢাকার হয়ে বরিশালের বিপক্ষে সিলেটে করেছিলেন ২০৪ রান।
শ্রীলঙ্কায় গত সপ্তাহে ‘এ’ দলে হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাইফ। সেই ফর্ম সাইফ টেনে এনেছেন চট্টগ্রামে। ফরম্যাট পাল্টালেও সাইফ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখালেন।
১২০ রানে দিন শুরু করা সাইফ মধ্যাহ্ন বিরতিতে অপরাজিত থাকেন ১৩৭ রানে। বিরতির পর ২২৮ বলে তুলে নেন দেড়শ রান। দ্বিতীয় সেশনে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। চা বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল।
তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন নাদিফ চৌধুরী ও নাজমুল ইসলাম অপু। সপ্তম উইকেটে ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক নাদিফকে সঙ্গে নিয়ে সাইফ গড়েন একশ রানের জুটি। আর ডাবল সেঞ্চুরিতে সাইফ পৌঁছান নাজমুলকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা বিভাগ।
রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ৮ উইকেটে ৫৫৬ রানে। ইনিংস ঘোষণার সময় সাইফের রান ২২০। নাজমুল অপরাজিত ১৮ রানে।
রান তুলতে কোনো তাড়াহুড়ো দেখাননি সাইফ। জমাট ব্যাটিংয়ে সহজেই পৌঁছে যান মাইলফলকে। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৭৭ বলে। তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন পরের ৬৮ বলে। একশ থেকে দেড়শতে যান ২২৮ বলে। দেড়শ পর ডাবলে পৌঁছতে খেলেন আরও ৮৮ বল।
বাংলাদেশের টেস্ট দলে তাকে নেওয়ার ভাবনায় আছেন নির্বাচকরা। বলার অপেক্ষা রাখে না এমন পারফরম্যান্সের পর দলে ঢোকার দাবি আরও জোরালোভাবে জানিয়ে রাখলেন সাইফ।
ঢাকা/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন