শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ১২৭, বাংলাদেশের ৬
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

বাংলাদেশ: ৪৯৫/১০
শ্রীলঙ্কা: ৩৬৮/৪
৪ উইকেটে ৩৬৮ রানে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। কামিন্দু ৩৭ ও ধনাঞ্জয়া ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ১২৭ রানে। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ উইকেট। নিসাঙ্কা একাই ১৮৭ রান করেন। তিনি ভিত গড়ে দেন বড় সংগ্রহের। এ ছাড়া চান্দিমাল ৫৪ ও অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ ৩৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন হাসান তাইজুল মুমিনুল ও নাঈম। উইকেট পাননি নাহিদ রানা। এর আগে বাংলাদেশ সকালে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১১ রান যোগ করে। অলআউট হয় ৪৯৫ রানে।
১৮৭ রানে থামলেন নিসাঙ্কা
ফিরতে পারতেন ফিফটির আগেই। ৩৬ রানে পেয়েছিলেন জীবন। সেটিকে কাজে লাগিয়ে আউট হয়েছেন ১৮৭ রানে! নতুন বলে বাজিমাত করেন হাসান। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন নিসাঙ্কা। ২৫৬ বলে ১৮৭ রান করেন এই ব্যাটার। ইনিংস সাজিয়েছেন ২৩টি চার ও ১টি ছয়ের মারে। ক্রিজে কামিন্দুর সঙ্গী ধনাঞ্জয়া।
মুমিনুলে বাংলাদেশের ব্রেক থ্রু, শ্রীলঙ্কার তিনশ পার
নিসাঙ্কা-ম্যাথুসের জুটি ভাঙা যাচ্ছিল না কোনোভাবেই। সেটি সম্ভব হয় মুমিনুলের আঘাতে। এগিয়ে এসে ডিফেন্স করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ম্যাথুস, খোঁচা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ৩৯ রান করেন ম্যাথুস। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না নিসাঙ্কাকে। দেড়শ পার করে এগোচ্ছন দুইশর দিকে। ক্রিজে তার সঙ্গী কামিন্দু। ৭৬.৫ ওভারে তিনশ পার হয় শ্রীলঙ্কা।
চাপে থেকে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
চান্দিমালকে ফিরিয়ে ১৫৭ রানের জুটি ভাঙার পরও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। ক্রিজে এসে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন নতুন ব্যাটার ম্যাথুস। সঙ্গী নিসাঙ্কা সেঞ্চুরির পর যেন আরও ক্ষুরধার। দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ২৩৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে দলটি ১৩৩ রান যোগ করে। অন্যদিকে উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ।
সাদমানের দারুণ ক্যাচে চান্দিমালকে ফেরালেন নাঈম
নাঈমের ঘূর্ণিতে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন চান্দিমাল। ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। দারুণ ক্যাচ নেন সাদমান। ১১৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। ভাঙে নিসাঙ্কার সঙ্গে গড়া ১৫৭ রানের জুটি। ক্রিজে আসেন ম্যাথুস। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামা এই অলরাউন্ডারকে গার্ড অব অনার দেয় দুই দল।
নিসাঙ্কার সেঞ্চুরির পর চান্দিমালের ফিফটি
নাহিদ রানার বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন নিসাঙ্কা। ১৩৬ বল খরচ করেন মাত্র। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৩টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান। তার সেঞ্চুরির পরই চান্দিমাল ৯৯ বলে ফিফটির দেখা পান। এর আগে ১৬১ বলে দুজনের জুটির সেঞ্চুরি হয়।
নিসাঙ্কার ফিফটি
জীবন পেয়ে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছেন নিসাংকা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরেই তুলে নেন ফিফটি। ৮৮ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার। চান্দিমালের সঙ্গে জুটি ফিফটি পেরিয়ে এখন সেঞ্চুরির পথে। নিসাংকা ৬৬ ও চান্দিমাল ৩১ রানে ব্যাট করছেন। উইকেটের খোঁজে মরিয়া বাংলাদেশ।
লাঞ্চের আগেই শ্রীলঙ্কার ১০০, ক্যাচ মিসের আক্ষেপ বাংলাদেশের
৩৬ রানে নাঈমের বলে শর্টে ক্যাচ তুলেছিলেন নিসাংকা। কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হন মুমিনুল। ক্যাচ মিসের আক্ষেপ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে শতরান করে ফেলে। ৪৭ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর ক্রিজে নিসাংকার সঙ্গী হন চান্দিমাল। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৮৩ বলে। জীবন পাওয়া নিসাংকা ৪৬ ও চান্দিমাল ২২ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন তাইজুল।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য
তাইজুলকে অনসাইডে খেলতে চেয়েছিলেন উদারা। কিন্তু যা হয়েছে তা বিশ্বাসই করতে পারেননি এই ব্যাটার। বল পিচড হয়ে কিছুটা দ্রুতগিতেতে ব্যাটে আসে, সময় পাননি উদারা। ক্যাচ তুলে দেন তাইজুলের হাতেই। ২৯ রানে ফেরেন উদারা। ৪৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে নিসাংকার সঙ্গী চান্দিমাল।
ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার দারুণ শুরু
মাথায় বড় রানের চাপ নিয়ে শুরতে ভড়কে যায়নি শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার নিসাংকা-উদারার ব্যাটে দারুণ শুরু করে। দুই পেসার হাসান-রানাকে দুজনে সামলাচ্ছেন দারুণভাবে। ওভার প্রতী ৫ রান করে তুলেছেন দুজনে। সপ্তম ওভারে বাংলাদেশ স্পিনার তাইজুলকে নিয়ে আসে।
৫০০ থেকে ৫ রান দূরে থামলো বাংলাদেশ
তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ খেলতে পেরেছে মাত্র ১৫ মিনিট। শেষ জুটি হাসান-রানা যোগ করেন ১১ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শূন্য রানে শুরু করা হাসান ৭ রান করলেও রানা রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৩ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৮ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে। আর ৯০ রান করেন লিটন দাস। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো। ৩ উইকেট করে নেন মিলান-তারিন্দু।
রান বাড়ানোর আশায় মাঠে হাসান-রানা
হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানা দ্বিতীয় দিন অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন। দুজনই অপরাজিত ছিলেন শূন্য রানে। তৃতীয় দিনে এই দুই টেল এন্ডার মাঠে নেমেছেন রান বাড়ানোর আশায়।
অস্বস্তিতে দ্বিতীয় দিন শেষ
৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে ৫০০ কিংবা তারও বেশি করার পরিকল্পনা ছিল দলের। কিন্তু এখন ৫০০-ও হয় কিনা সেটা নিয়েই রয়েছে শঙ্কা। ৬১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম অস্বস্তিতে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ শিবির। মুশফিক ১৬৩ ও লিটন ৯০ রানে ফেরার পর মূলত পতনের শুরু। জাকের আলীরা কেউ হাল ধরতে পারেননি।
ঢাকা/রিয়াদ