দেয়ালচিত্রে আবরারের কথা
২০১১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেছে সুস্থ সবল একটি মানুষ। সেখানে ঢোকার পর হায়েনাদের নির্মম নির্যাতনে তাকে লাশ হয়ে বের হতে হয়েছে
পলাশী হয়ে বুয়েটের রাস্তা দিয়ে পথচারীদের নিয়মিত চলাচল ছিল স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পথ চলতে গিয়ে পলাশী থেকে একটু পথ এগিয়েই থমকে যান সবাই। তাদের দুচোখ আটকে যায় ব্যতিক্রমী কিছু দৃশ্যে। আবরারের মৃত্যুতে প্রতিবাদস্বরূপ দেয়ালে দেয়ালে অংকিত হয়েছে কিছু চিত্র যা গ্রাফিতি হিসেবে পরিচিত।
তাক লাগানো এসব গ্রাফিতিতে একটু গভীর মনোযোগ দিলেই বোঝা যাবে ক্যাম্পাসে কেমন অসভ্য বর্বরতার শিকার মেধাবী আবরারের মতো অগনিত শিক্ষার্থী।
নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণে ক্যাম্পাসে এ প্রতিবাদী গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে শিক্ষার্থীরা।
গ্রাফিতি অঙ্কনের দায়িত্বে থাকা স্থাপত্যকলা বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওরেম রাহুল সিংহ রাইজিংবিডির কাছে এসব ছবির ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ছবিতে লাশের (প্রতীকী) ডান পায়ের আঙ্গুলে সুতো দিয়ে ঝোলানো প্লেটের প্রথম দুই সংখ্যা ১৭। অর্থাৎ এটি আবারের ব্যাচ নম্বর। পরের ০৬ হচ্ছে তার ডিপার্টমেন্টের নম্বর। সবশেষ ০৯৮ হচ্ছে আবরারের আইডি নম্বর
একজন শিক্ষার্থীকে স্বাধীনভাবে চলতে ফিরতে বলা হয়েছে। কিন্তু শিকল দিয়ে বন্দী সে। ফলে সে উড়তে চাইলেও পারছে না
একজন অন্যায় দেখছে কিন্ত চোখ বন্ধ করে রাখছে। কিছুই বলতে পারছে না। আর এ না দেখার ভান ধরে থাকাকে নেতারা বলছেন এভাবেই নিরাপদ আছিস
সাধারণত একজন শিক্ষার্থী সহজ সরল থাকে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে নানা সংসর্গে মেশে সে। এতে সৎ বুদ্ধি/পরামর্শে সে ভাল হয় নতুবা অসৎ সঙ্গ ও লোভে পড়ে খারাপ হয়ে যায়। অর্থাৎ সে তার মহত্বকে গিলে খাচ্ছে
কোনো সন্ত্রাস দেখিনি, শুনিনি, কিছু বলা যাবে না
এ ছবিতে ফুটে উঠেছে আবরারের বাবার আকুতি
আবরারের মায়ের কাছে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থী পুরো বুয়েট ক্যাম্পাস। ছবিটি স্থান পেয়েছে ক্যাম্পাসে ঢুকতেই
সনি, দ্বীপ, আবরার গেল। এবার অপেক্ষা তোমার। ইনসার্ট ইওর নেম
ঢাকা/ইয়ামিন/এনএ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন