ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খালেদার জামিনে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: আইনমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার জামিনে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করার কারণে প্রথমে বিচারিক আদালতে এবং পরে উচ্চ আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করার জন্যও তিনি দণ্ডিত হয়েছেন। খালেদার বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিহিংসার প্রশ্নই ওঠেনা। তার জামিনের বিষয়টিও আদালতের এখতিয়ার।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জিপি (সরকারি কৌশুলী) এবং পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) জন্য আয়োজিত ২১তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে আদালতকে যেভাবে নিজেদের পকেটে রাখা হতো সেই অবস্থা এখন নাই। বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন।

ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হচ্ছে

ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে এই আইন সংশোধনের জন্য উত্থাপন করা হবে। বর্তমানে একজন যুগ্ম জেলা জজ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আইনটি সংশোধন হলে যুগ্ম জেলা জজের পাশাপাশি সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজরা এই মামলাগুলোর বিচার করতে পারবেন। এতে করে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে।

মামলার জট কমাতে জিপি ও পিপিদের সহযোগিতা কামনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, একসেস টু জাসটিসকে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে জিপি- পিপিগণের ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সব অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তার বিকল্প নাই।

‘প্রায়শই শুনা যায় কোন কোন জিপি-পিপি বিভিন্ন অজুহাতে আদালতে সময়ের দরখাস্ত দাখিল করে থাকেন যা মোটেই ঠিক না। মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোন ঢিলেঢালা বা গড়িমসি মনোভাব কাম্য নয়,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

মামলার জট কমিয়ে আনার জন্য শেখ হাসিনার সরকার কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। জিপি-পিপিদেরকে এ আইনের বিধানগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীকে এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে আসছে।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হিসেবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি সব বিষয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জিপি-পিপিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার শুধু করলেই হবে না, সেটি অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। সরকার এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েই জিপি-পিপিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়