‘মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই ’

একজন রোগীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ড্যাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ।

তিনি বলেন, একজন রোগীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই। আমাদের জানা মতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকগণ তার মেডিক্যাল রিপোর্ট দুই দফা প্রস্তত করে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্যর কাছে জমা দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপণের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যু ঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়ার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন।

তিনি বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অসত্য বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে ও খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভণ্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন।

ডা. ফরহাদ বলেন, আপনারা জানেন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজে পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান। এমনকি জেলখানায় থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ২৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ।

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা. মো. সহিদুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ডা. কাজী মাযাহারুল ইসলাম দোলন, ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল হক রাহাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. মশিউর রহমান কাজল প্রমুখ।

 

ঢাকা/সাওন/জেনিস