ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের কতজন যুদ্ধ করেছেন, হিসাব চাই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আওয়ামী লীগের কতজন যুদ্ধ করেছেন, হিসাব চাই: ফখরুল

ছবি: শাহিন ভূঁইয়া

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের এমপিরা, মন্ত্রীরা যারা কোন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসেনি, তারা অনেক বড় বড় কথা বলেন। আমাদেরকে বাণী দেন, আমাদেরকে উপদেশ দেন। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা ৭১ সালে কতজন বাংলাদেশের রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন? আমরা এর হিসাব চাই।

রোববার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন মত প্রকাশের দেশ। আজকে আমাদের এই দেশকে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই গণতন্ত্র কাদের হাতে হত্যা হয়েছে। যারা আজ নিজেদের দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধের একমাত্র ধারক-বাহক (আওয়ামী লীগ) , তাদের হাতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। তারাই ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যখন দেশ শাসন করছে, তখন একে একে সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে সর্বশেষ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রবর্তন করেছেন। এদেশের মানুষ এত সহজেই এটা ভুলে যায়নি।

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তিনি যখন বলেন জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং তিনি কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এই ধরনের বক্তব্য দেন, তখন একবারও কি তারা চিন্তা করেন, তাদের অতীত টা কি ছিল আর জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কি ছিল? সেদিন আপনারা পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং জিয়াউর রহমান এই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’

ভারতের এনআরসি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি, এই এনআরসি বিষয়টিতে আমাদের সরকারের মনোযোগ দেওয়া উচিত, ভারতের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ এখানে আমাদের স্বার্থ আছে। আজকে বারবার বলা হচ্ছে, বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করছে, এটা একটা মারাত্মক কথা। তার মানে এনআরসি করে তারা বলছে, কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। তাদের মন্ত্রীরা বারবার ঘোষণা দিচ্ছেন, সেইসব বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, একটাকেও রাখা হবে না।  আমাদের নাগরিক না অথচ বাংলাদেশি বলে তারা ফেরত পাঠিয়ে দিবেন এবং সেটা আমাদের উপর লক্ষ লক্ষ মানুষের আরেকটি চাপ আসবে। এটাতো আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা সকল কিছুর উপর চাপ সৃষ্টি করবে। সেসব বিষয়ে এ সরকারের কোন কথা নেই।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।


ঢাকা/মেহেদী/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়