‘ভিন্নমত পোষণ করলেই নিস্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে’

‘দেশে আজ কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলেই তাকে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান-এর স্মরণ সভা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তালুকদার মনিরুজ্জামান সাহেবরা সব সময় আসেন না। পৃথিবীতে খুব ক্ষণজন্মা পুরুষ তারা। তালুকদার মনিরুজ্জামান সাহেবের চলে যাওয়া দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আজকে যে রাষ্ট্র আমরা সবাই মিলে তৈরি করেছি এটাতো একটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিষয়টি তালুকদার মনিরুজ্জামান সাহেবের নিশ্চয় একটা দুঃখের কারণ ছিল। এরপরে তিনি খুব একটা জনসম্মুখে আসতেন না, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন তার অন্যতম কারণ ছিল এটা।’

তিনি বলেন, “আজকে আমরা যে রাষ্ট্র তৈরি করেছি সেখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। সাধারণ মানুষ একেবারে সাধারণ হয়ে গেছে। যে চিন্তা নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম সেই চিন্তা, চেতনা, ধারণাগুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আজকে যারা শাসকগোষ্ঠী তারা খুব সচেতনভাবেই দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে।

‘খুব দুঃখ হয় যখন দেখি দেশের যারা গুণী মানুষ আছেন, কথা বলার কারণে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। যদিও তারা কোনো রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন না। তার এমন একটি উদাহরণ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তাকে শুধু ভিন্নমত পোষণ করার কারণে কারাগারে নিয়ে নিদারুণভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

‘যারা লেখেন, কথা বলেন এবং শুভ চিন্তা ও কাজ করতে চান- আজকে তাদেরকেও পর্যদুস্ত করা হচ্ছে। দেশে আজ যারা ভিন্নমত পোষণ করতে চায়, ভিন্ন কথা বলতে চায় তাদেরকে বিভিন্নভাবে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে, ছিন্ন করা হচ্ছে, নিস্তব্ধ করে ফেলা হচ্ছে। যাই হো,ক এর মধ্যেই আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে। এরমধ্যেই আমাদের কথা বলতে হবে।”


ঢাকা/সাওন/সনি