সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ মনিটরিং করছে আ.লীগ
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সারাদেশে দলীয় ত্রাণ বিতরণ ও মনিটরিং করছে আওয়ামী লীগ।
প্রতিদিন রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা এসে সারা দেশের সঙ্গে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে মঙ্গলবারও (০৫ মে) দলীয় কার্যালয়ে আসেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবং এস এম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময় নেতারা মাঠ পর্যায়ে নেতাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'আমরা দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা সংকটে থাকা মানুষের পাশে দাড়াতে নেতাকর্মীদের কর্মকান্ড মনিটরিং করছি। তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।'
আব্দুর রহমান বলেন, 'এই সংকটে দুস্থ, অসহায় মানুষের তালিকা করে তাদের দ্বারে দ্বারে ত্রান পৌছে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের সাথে সাথে আওয়ামী লীগও সারা দেশে ত্রাণ বিতরণের কাজ করছে।'
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, 'দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার এবং আওয়ামী লীগ যেভাবে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন, সেটি বিএনপির ভালো লাগছে না। তারা ত্রান বিতরনের নামে ফটোসেশন করে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে আর সমালোচনা করছে। তারা নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি আওয়ামী লীগ দল-মত নির্বিশেষে যাদের ত্রান প্রয়োজন, তারা যেন সাহায্য পায়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন বিএনপি ত্রাণে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলে। যারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যাদের চেয়ারপারসন কালো টাকা সাদা করেছেন, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার ভাইয়ের পাচার করা টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে, সেই দুর্নীতিবাজরা যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে, তখন মানুষ হাসে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি নিয়ে এগোচ্ছেন এবং যেখানেই ত্রাণের ব্যাপারে সামান্যতম প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, সেখানে তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেই নির্দেশ পালিত হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’
সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে করোনাদুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলে, ‘গ্রামপর্যায় পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষের কাছে আমাদের ত্রাণ পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপি নেতারা কিছু মানুষকে ত্রাণ দিতে গিয়ে ফটোসেশন করেন আর সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি বিষেদগার করেন, এই কাজেই তারা ব্যস্ত।’
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পারভেজ/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন