ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে গণতান্ত্রিক সরকার হয় না’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৪, ৬ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে গণতান্ত্রিক সরকার হয় না’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে গণতান্ত্রিক সরকার হয় না, জনগণের সরকার হয় না।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা নিজেদেরকে রাজা-বাদশা মনে করছেন। রাজা-বাদশা তো হওয়ার কথাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না গণতান্ত্রিক সরকার হয় না, জনগণের সরকার হয় না।

সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের মাধ্যমে এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, গতকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কী করেছেন? এই ভিসির প্রতি স্পষ্ট অভিযোগ, গত ঈদে ছাত্রলীগের ছেলেদের ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সেলামি দিয়েছেন। তার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছেন। সেই ভিসিকে রক্ষা করার জন্য গতকাল ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা দানবে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশ্বাস করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তারই সহপাঠী একটি মেয়েকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে! এটা বিশ্বাস করা যায় না। কারা এদেরকে দানব বানালো? এই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি একটি শক্তি। কারণ, বিএনপি জনগণের কথা বলে। আর বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মুক্তি নিয়ে যদি, যাদেরকে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নিয়ে আমরা চলি, তাদের মধ্যে অনীহা থাকে তাহলে তো তাদের সাথে দীর্ঘ পথ চলা ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আন্তরিকতার সাথে মাঠে থাকি তাহলে আমাদের শক্তি যথেষ্ট। সেই কারণে যারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) আছে তাদেরকে সম্মান করি ও গুরুত্ব দেই। কিন্তু তারা যদি আমাদের ঘাড়ে চেপে তাদের নিজস্ব টার্গেট নিয়ে চলতে চায়, সেই পথে চলা তাহলে আমাদের জন্য বোকামি হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য তাদেরকে কেন মঞ্চে চিরকুট দিতে হবে? বেগম জিয়ার মুক্তি কথা তারা কেন বলতে পারবে না? আর যার বিরুদ্ধে আমরা রাজনীতি করি তাদের কথা জোরেশোরে আমাদের সামনে কেন বলা...। তারপরও আমরা সহ্য করি কেন, করি শুধু জাতীয় ও জনগণের স্বার্থে। এ কারণে আমি মনে করি, সবাইকে একটু সতর্ক হওয়া ভালো।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।


ঢাকা/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়