ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মুজিববর্ষের বাজেট অনুযায়ী কর্মসূচি ‘রিঅ্যারেঞ্জের’ চিন্তা আ. লীগে

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ১৮ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
মুজিববর্ষের বাজেট অনুযায়ী কর্মসূচি ‘রিঅ্যারেঞ্জের’ চিন্তা আ. লীগে

করোনা মহামারি কারণে স্থগিত হওয়া মুজিববর্ষের কর্মসূচি বাজেট অনুযায়ী ভবিষ্যতে ‘রিঅ্যারেঞ্জ’ (পুনর্বিন্যস্ত) করার চিন্তা রয়েছে আওয়ামী লীগের মধ্যে। সুবিধাজনক সময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হতে পারে।

করোনার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানসহ বেশকিছু অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয় অনেক আগেই। দেশে করোনা সংক্রমণ কবে কমবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। 

দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, মুজিববর্ষে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিস্তর কর্মসূচি নিয়েছিলো। কিন্তু করোনার কারণে স্থগিত অনুষ্ঠানগুলো সুবিধাজনক সময়ে তারা করবেন। সেক্ষেত্রে বাজেট বাস্তবায়ন এবং কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। বাজেট অনুযায়ী কর্মসূচিগুলো ভবিষ্যতে রিঅ্যারেঞ্জ করা যাবে।

নেতারা বলেন, ‘‘মুজিববর্ষের কর্মসূচি এদেশের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং এটা যেকোনোভাবেই বড় আকারে করবো আমরা। হয়তো করোনার কারণে আমাদের শিডিউল পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এটা নির্দিষ্ট সময়ের পরও যদি করা হয় তার আকর্ষণ কিংবা আবেদন কোনোটাই কমবে না। অর্থাৎ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান এবং বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা আশাবাদী।’’ 

মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে এই আয়োজনে যার যার মতো খরচ করবে। এ বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিনে মুজিববর্ষ শুরু হওয়ার কথা ছিলো সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। আর শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ আরেকটি বড় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। দুটি অনুষ্ঠানেই বিদেশি অতিথি থাকবেন বলে সেভাবে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ প্যারেড গ্রাউন্ডের মূল অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। পরে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল, সোশ্যাল ও অনলাইন মিডিয়ায় ওইদিন রাত ৮টায় এক যোগে সম্প্রচার হয়। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠান করার কথা বলা হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘করোনার যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে খুব দ্রুত এটি যাবে না। তবে আমরা মুজিববর্ষের যে বাজেট এবং অনুষ্ঠানগুলো হাতে নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন অবশ্যই হবে। এটা এমন না যে সময় মতো হয়নি বলে আর করা যাবে না। 

‘‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করা দেশবাসীর আবেগের বিষয়। সুতরাং এটা হবে এবং খুব ভালোভাবেই হবে। আগামী বছরও এটা করা হতে পারে, যখন সুবিধাজনক সময় আসবে। আপাতত আমরা করোনা মোকাবিলায় নজর দিচ্ছি।’’ 

দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য ও জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। সময় পরিবেশ এবং পরিস্থিতি বলবে অনুষ্ঠান কখন করা যাবে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো করোনা মোকাবিলা করা। মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করাই এখন মূল বিষয়।’’ 

‘‘জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান জাতি হিসেবে আমাদের ভালোবাসার কর্মসূচি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা ঘোষিত কর্মসূচিগুলো রিঅ্যারেঞ্জ করে সফল করবো। এটা নিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে এখন আমাদের লক্ষ্য একটা সেটা হচ্ছে করোনা মোকাবিলা।’’- যোগ করেন তিনি।
 

পারভেজ/সাইফ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়