যশোর-৬ ও বগুড়া-১ উপ-নির্বাচন বর্জন করবে না জাপা
যশোর-৬ (কেশবপুর) ও বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে উপ-নির্বাচনে আজ (১৪ জুলাই) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই দুই আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনের দিন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হলেও জাপা প্রার্থীরা নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) রাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন পড়ায় আমরা উপ-নির্বাচন পেছাতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা অনুরোধ রাখেনি।
এ অবস্থায় জাপা প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মানসিক অবস্থা কী হবে সহজে অনুমেয়। তারপরও আমরা নির্বাচন করবো। কারণ জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচন বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই।
এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে উপ-নির্বাচন পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে চিঠি দেয় জাপা। সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। গত রোববার জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এমপি বাবলা সিইসিকে উপ-নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে অনুরোধ করেন।
জাপার প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দেন নির্বাচন পেছানো যাবে না। তাহলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে। সিইসি জাপা প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ জানান।
জাপা সূত্র জানায়, উপ-নির্বাচনের দিন এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী দিন পড়ায় দুটি আসনের দলীয় প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। নেতাকর্মীরা বলছেন, জাপার অনুরোধে নির্বাচন কমিশন হয়তো নির্বাচন পিছিয়ে দেবে। এ কারণে দুটি আসনে প্রার্থী ও সমর্থকরা তেমন জোরালো প্রচার করেনি। এখন অপ্রস্তুত অবস্থায় নির্বাচন করতে হচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সোমবার রাতে বলেন, নির্বাচন পেছাতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের প্রার্থীদের বলেছি, নির্বাচন করার বিষয়ে দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে। তারা যা ভালো মনে করবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৮ জানুয়ারি সাংসদ আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নানের (নৌকা) সঙ্গে জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল) প্রতীকে লড়াই করছেন। এছাড়া বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক) প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাংসদ ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা গেলে যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের (নৌকা) সঙ্গে লড়াই করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
নঈমুদ্দীন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন