ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কমিটিতে বিতর্কিতদের রাখা যাবে না: কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২০:০২, ৩ অক্টোবর ২০২০
কমিটিতে বিতর্কিতদের রাখা যাবে না: কাদের

'আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের যে কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কোনো ধরনের বিতর্কিত লোক না রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি ত‌্যাগী ও পরীক্ষিতদের কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বে এমন কেউ যেন বাদ না যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথাও তিনি বলেছেন।'

শনিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকরির বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রধানের এ নির্দেশনার কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

এর আগে সকালে গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে আটটি বিভাগের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে আটটি টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। তা শেষ করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এককোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করে।  এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।'

দলীয় সভাপতি সাংগঠনিক জেলার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দুর্দিনের ত্যাগী, পরীক্ষিত, নিবেদিত নেতাকর্মীরা যাতে বাদ না পড়ে সেইদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হলেই নিজেদের লোক দিয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টির জন্য "মাই ম্যান" কমিটি গঠন করা যাবে না।’

'সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন ও পরীক্ষিত নেতাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা ক্ষোভের কারণে বাদ দেওয়া যাবে না। কোনো অবস্থাতে পার্টির ভেতরে বিতর্কিত লোকদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।'

তৃণমূলের সব কমিটি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠন করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওয়ার্ড, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা, থানা শেষ করে জেলা বা মহানগরের সম্মেলন শেষ করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলে মাঠের লোক নেতা হয়, আর সম্মেলন ছাড়া কমিটি গঠন করা হলে লবিং বা তদবিরে কিছু লোক নেতা হয়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় টিমের নেতারা তৃণমূলের মত ও অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করবে এবং প্রস্তাবিত কমিটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন ও প্রস্তাবনা দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে পেশ করবে।  সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটি অনুমোদন করা হবে।

করোনা মহামারি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতদূর সম্ভব উপজেলা, থানা , ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজন করতে হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও ইতোপূর্বে যেগুলোর সম্মেলন হয়েছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেন তিনি।

আগামী শীতে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসতে পারে-বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী আগামী শীতে করোনা মহামারির একটা শক্তিশালী আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।  এ আশঙ্কা মোকাবিলায় আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মীতের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও জনকল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লক্ষ্য অর্জনে বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার।

ঢাকা/পারভেজেএসএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়