ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করলেন জিএম কাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০২০  
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করলেন জিএম কাদের

বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় ছাত্র সমাজ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, প্রচলিত নির্বাচন ব্যবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর নয়। তাই ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে দেশের সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে সংসদে। বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় শুধু বড় দুই থেকে তিনটি দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।

সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মতো যদি সারাদেশের ভোটের অনুপাতিক হারে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় তাহলে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে বলে মনে করেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, গণমানুষের ভোটের রায় সবসময় মঙ্গলময়। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে কখনো ভুল করে না। ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ভোটে কালো টাকার খেলা বন্ধ হবে। নির্বাচনে খুনাখুনি হবে না।  

জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহীম খান জুয়েলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, উপদেষ্টা-প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, মো. হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদীন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, মাসুদুর রহমান মাসুম, জহিরুল ইসলাম, এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ১৮ থেকে ২০ কোটি মানুষের জন্য এককেন্দ্রীক সরকার ব্যবস্থায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে সংবিধান থেকে ৭০ ধারা তুলে দিতে হবে। এই ধারার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলীয় প্রধান সরকার প্রধান হন, এতে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সংসদ সদস্য ভোট দিতে পারেন না। দলীয় প্রধান যা বলেন, তাই কার্যকর হয়।  

উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আল জুবায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক ভূঁইয়া, শেখ মো. শান্ত, সোলায়মান সামি, সাইফুল ইসলাম শোভন, ওহিদুর রহমান, শাহ ইমরান রিপন, মারুফ ইসলাম প্রিন্স, জামাল হোসেন, শাহরিয়ার রাসেল, শাহাদৎ হোসেন রুপু, মো. ইউসুফ আলামীন, শাহ আলম সবুজ, তানভীর হোসেন সুমন, মো. রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, আতাউল আরিফিন, মোস্তফা সুমন, তানভীর আজিজ, দ্বীন ইসলাম, শাহ সুলতান সরকার সুজন, ফকির আল মামুন,আবু সাঈদ লিওন, মোসলেম মিয়াজী, মো. মানিক খান, মো. নাঈম, রুবেল সিকদার, সামি উল সোহাগ, জাহিদুল ইসলাম, নাজিমুদ্দৌলা প্রমুখ।

রাইজিংবিডি/নঈমুদ্দীন/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়