বিএনপি টিকা নিয়ে অপপ্রচার করছে: কাদের

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অপরাজনীতির প্রয়াসসহ দেশের কল্যাণকর প্রতিটি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এখন বিএনপির স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘করোনার শুরুতে যারা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছিল, তারাই এখন নতুন করে অপপ্রচার শুরু করছে টিকা নিয়ে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

করোনার সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, অসহায় মানুষের সুরক্ষা এবং জীবন-জীবিকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মহান স্রষ্টার রহমতে ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বের কারণে আশঙ্কা অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যু বেদনার। একটি মৃত্যুও কাম‌্য নয়। সরকার এত ত্বরিত গতিতে করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বলেই বিএনপির আজ গাত্রদাহ হচ্ছে।’

সরকারের জননন্দিত কাজের প্রশংসা বিএনপির অভিধানে নেই, অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি অন্ধ সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হতে থাকুক আর আত্মদহনে দগ্ধ হতে থাকুক। সরকার শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো টিকা সংগ্রহ এবং টিকা প্রদানের কার্যক্রমও স্বচ্ছতা ও সফলতার সাথে শেষ করবে, ইনশাআল্লাহ।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার বা অন্য কোনো নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না বা হবে না।’ এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাদের ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কিছু দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভবিষ্যতে মনোনয়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।’

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়ান। অন্যথায়, এসব সংগঠনবিরোধী কাজ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংগঠনিক সমস্যা নিরসনে আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনার পাশাপাশি সব পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

কোনো কোনো পত্রিকায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে; এ কথা ঠিক নয় জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত পর্যায়ে চলমান ছিল। দলের সভাপতি সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন।’