ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৩০ মার্চ ২০২১  
‘সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (ফাইল ফটো)

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তরের পর সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। তাই ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে আর গণতন্ত্র নেই।’

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের মহল কনভেনশন হলে জাতীয় পার্টির বছরব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তি‌নি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানকে এমনভাবে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রায় ৯৯ ভাগই সরকারপ্রধানের হাতে। এতে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের অভাবে সুশাসন ও আইনের শাসন নষ্ট হয়েছে। দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা টেন্ডারবাজি, লুটপাট ও দখলবাজিতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। অপরদিকে, দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে, নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। দেশ এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়, আমরা দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ উপহার দেবো।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান অ‌্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ‌্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদেরের নির্দেশনা এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

উপস্থিত ছিলেন—পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মেজর (অব.) সোহেল মো. রানা এমপি, নুরুল ইসলাম শানু, আমানত হোসেন, হেনা খান পন্নি, খান ইসরাফিল খোকন, নুরুল ইসলাম তালুকদার, অ‌্যাডভোকেট লাকি বেগম, হারুন আর রশীদ, নাজনিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, সালমা হোসেন, শফিউল্লাহ শফি, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মো. রাজু, আমির হোসেন ভূঁইয়া, মো. সামছুল হক, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, হুমায়ুন খান, আবুল খায়ের, জয়নাল আবেদিন, ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, মিজানুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, এটিআই আহাদ চৌধুরী শাহীন, সাকিব রহমান, গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক নুরু, এম এ সুবহান, জাকির হোসেন মৃধা, শারমিন পারভীন লিজা, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল, ডা. সেলিমা খান, শেখ মোহাম্মদ শান্ত, অ‌্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়