চারদিনে ৩ হাজার পরিবারের মুখে ঈদের হাসি ফোটালেন রিপন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউনে কর্মহীন, অসহায়, ভাসমান, হতদরিদ্র সংকটপীড়িত মানুষের মাঝে ধারাবাহিকভাবে খাদ্য সহায়তা এবং ঈদ উপহার তুলে দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
গত চারদিনে ৩ হাজার পরিবারের মুখে ঈদের হাসি এনে দিয়েছেন তিনি। চরম এই সংকটে খাদ্য সহায়তা ও ঈদ উপহার পেয়ে চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ফুটেছে এসব সংকটে থাকা মানুষজনের।
বৃহস্পতিবারও (৬ মে) ঢাকা-০৫ আসনের যাত্রাবাড়ি ও কদমতলী থানার দুটি স্পটে ৮’শ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন কামরুল হাসান রিপন। বিকেলে কদমতলী থানার ৬০ নং ওয়ার্ডের গ্যাসরোডের মোরে ৪’শ অসহায়-মেহনতি পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় সুশৃঙ্খলভাবে ঈদ উপহার পৌঁছে দেন তিনি।
পরে যাত্রাবাড়ি থানার ৬১ নং ওয়ার্ডের বর্ণমালা স্কুলের সামনে আরও ৪’শ অসহায়-মেহনতি এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন। এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল— পোলাওয়ের চাল, দুধ, চিনি, দুই ধরণের সেমাই, ভোজ্যতেল ইত্যাদি।
এর আগে গত সোমবার ঈদ উপহার বিতরণের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
ঈদ উপহার বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কামরুল হাসান রিপন বলেন, করোনার প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ঢাকা-০৫ আসনের প্রতিটি থানার প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগিলিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ হাজার লিফলেট এবং ৫০ হাজার অসহায় সুবিধাবঞ্চিত-কর্মহীন সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছি। ওই সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, ২৫ হাজার রোজাদার ব্যক্তির মাঝে ইফতার এবং ১০ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছিলাম। করোনার দ্বিতীয় ধাপেও আমি আমার সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতদিন এই করোনার মহাসংকট দূর না হবে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পরামর্শে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা সর্বদা মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পারভেজ/আমিনুল
আরো পড়ুন