ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ বিলুপ্তি চায় শ্রমিক ফ্রন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ১১ মে ২০২১  
ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ বিলুপ্তি চায় শ্রমিক ফ্রন্ট

ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

পোশাক শ্রমিকদের  সঙ্গে পুলিশের সংঘর্সেল ঘটনায় শ্রমিকদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ বিলুপ্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা, ঢাকা নগর সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।

গাজীপুরের টঙ্গীতে ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে শিল্প পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন শ্রমিক আহত হয়।  নেতারা বলেন, শিল্প মালিক আর রাষ্ট্র পরিচালকদের অব্যবস্থাপনা-সিদ্ধান্তহীনতা শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য দায়ী।  শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পাশ কাটাতে গৃহীত সরকারি কৌশল করোনা নিয়ন্ত্রণে ঘোষিত লকডাউনকে মানুষের কাছে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে।  এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই কারখানাগুলোতে ঈদের সাধারণ ছুটির সাথে অতিরিক্ত ছুটি দেওয়ার জন্য সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতেও জেনারেল ডিউটি করানো হয়েছে।  ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হওয়ার আকাঙ্খা থেকেই শ্রমিকরা গত দেড়মাস ধরে বিশ্রাম না নিয়ে কাজ করেছেন।

তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরিবার-পরিজনের সাথে মিলিত হতে ছুটি পাওয়া যাবে কিনা? এসব প্রশ্নের ফয়সালা না করে আকষ্মিকভাবে শুধুমাত্র ৩ দিনের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা শ্রমিকদের লালিত স্বপ্নে আঘাত করেছে, তাদের ক্ষুব্ধ করেছে।  এই অসন্তোষের দায় মালিক আর সরকারের নীতি-নির্ধারকদের।  অথচ শ্রমিকদের আকাঙ্খাকে বিবেচনা না করে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর নির্বিচার লাঠিচার্জ করা হয়েছে।  মজুরি, ছুটি বা অন্যান্য শ্রম অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি শিল্প সম্পর্কের নিয়মানুসারে মালিক এবং শ্রমিকের দ্বি-পাক্ষিক দরকষাকষির বিষয়।  আর রাষ্ট্রিয় সংস্থা হিসাবে পুলিশের দায়িত্ব শিল্প সম্পর্কের দুর্বলপক্ষ শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় সাহায্য করা।  

নেতারা বলেন, শ্রমিকরা অস্ত্রধারী নয়, ডাকাত নয়, তারা শ্রম দিয়ে উৎপাদন করে মূল্য সৃষ্টি করে আর তৈরিকৃত মূল্যের একটি অংশ মজুরি হিসাবে পেতে চায়। ফলে শিল্প সম্পর্ক পরিচালনায় পুলিশের কোনো প্রয়োজন নেই।

মামুন/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়