ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর দিশারী হয়ে দেশে আসেন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০১, ১৭ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:০৫, ১৭ মে ২০২১
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর দিশারী হয়ে দেশে আসেন’

প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর দিশারী হয়ে দেশে আসেন। তিনি এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মানুষকে জাগরিত করেছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন।’

সোমবার (১৭ মে) শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে না আসলে আমরা এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। সেদিন তিনি দেশে আসায় আমরা স্বপ্ন দেখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। 

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে ভয়াবহ দুর্দশা ছিল। দেশে গণতন্ত্র ছিল না। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এ দুটি ঘটনা একই ঘটনার ধারাবাহিকতা। তখন দেশ ও আওয়ামী লীগও করুণ অবস্থায় ছিল। তখন ঐক্যের প্রতীক হিসেবে, আদর্শের প্রতীক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়।’

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পরও খুনি, একনায়ক জিয়াউর রহমান তাকে দেশে আসতে বারণ করেছিলেন। তিনি সেদিন নিজ বাড়িতে উঠতে পারেননি, আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছিলেন। তাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দেশকে ভালোবেসে, মানুষকে ভালোবেসে জাতির পিতার স্বপ্নের গণতান্ত্রিক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য দেশে এসেছিলেন, দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই জাতির পিতার হত্যার বিচার করা সম্ভব হয়েছে, উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশে যেমন মহাত্মা গান্ধী হত্যার সঠিক বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা খুনিদের সাথে আপোশ করেননি। বিচার না হলে আমরা কলঙ্কিত জাতি হয়ে থাকতাম। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ এর পর কেউ কেউ বলতো, রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী বলে ভাগাভাগি করার কী দরকার? এ কথা বলে তারা অপরাধীদের বিচার রুখতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা আপোশ না করে বঙ্গবন্ধুর করে যাওয়া আইনেই তাদের বিচার করেছেন। যারা দেশবিরোধী, সাম্প্রদায়িক চেতনার অপরাজনীতি করে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণেই যুদ্ধপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে।’

‘আজ যারা ধর্মব্যবসায়ী তাদেরও মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের এ দেশে স্থান নেই। তারা চাইলে পাকিস্তানে গিয়ে রাজনীতি করুক। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে গড়ে তুলব।’

তিনি বলেন, ‘দলের দুর্দিনে কেউ কেউ পিছিয়ে যায়। বয়স হয়েছে, বাকি কটা দিন শান্তিতে থাকতে চাই, এসব কথা বলে ২০০১ সালে অনেকেই রাজনীতি থেকে দূরে ছিল। দলের দুর্দিনে তারা পালিয়ে যায়। আমরা সুদিনের নেতা চাই না। আগাছা আসলে, হাইব্রিড আসলে আমরা উপড়ে ফেলে দেবো।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অন্যদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়