করোনা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপের দাবি বিএনপির

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে এখনই জাতীয় আপতকালীন পরামর্শ কমিটি গঠনসহ পাঁচটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি উপস্থাপন করেন।

পাঁচটি সমন্বিত দাবি হচ্ছে-দরিদ্র মানুষকে ঘরে রাখার জন্য তাদের ঘরে নগদ কমপক্ষে এককালীন ১৫ হাজার টাকা এবং খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। মানুষকে বাইরে বের হবার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।  অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে অতি দ্রুত টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য একটি সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট রোড-ম্যাপ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বর্তমানে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবারহ, আইসিইউ ও করোনা বেড বৃদ্ধিসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।

অনেক বিলম্বে হলেও এখনি দেশে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সব রাজনৈতিক দল, এনজিও এবং সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপতকালীন পরামর্শ কমিটি গঠন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই পাঁচটি বিষয় করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধান টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে।  আমাদের মনে রাখতে হবে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যে লড়াই সেটা বস্তুত একটি দীর্ঘস্থায়ী লড়াই।

তিনি বলেন, অবিলম্বে দরিদ্র, দুঃস্থ ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে অবিলম্বে এককালীন নগদ ১৫ হাজার টাকা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।  আমাদের জিডিপির ৬-৭% এই খাতে বরাদ্দ করেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব।  যা দরকার সেটা হলো সরকারের স্বদিচ্ছা ও আন্তরিকতা।  ঐক্যবদ্ধভাবে এই মহাসংকট মোকাবেলার জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে পুনরায় উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

লকডাউন কার্যকর করতে হলে দিন আনে দিন খায় শ্রেণির মানুষের কাছে টাকা পৌঁছাতে হবে উল্লেখ করে বলেন, খাদ্য পৌঁছাতে হবে তাদের হাতে। সেজন্য এই কাজগুলো করা দরকার এই মুহূর্তে।