ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে মন্ত্রী, এমপি ও মেয়রের শোক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৪ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৮:০৯, ২৪ জুলাই ২০২১
ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে মন্ত্রী, এমপি ও মেয়রের শোক

একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ. লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, এমপি, আ. লীগের অন্যতম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

৭১ বছর বয়সে জননন্দিত এই শিল্পীর প্রয়াণের সংবাদে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।  

মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার শোকবার্তায় বলেন, ‘ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর হয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে, মহান মুক্তিযুদ্ধে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে এবং নব্বইয়ের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা রাখা ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ফকির আলমগীর তার গানের মধ্যে দিয়ে এদেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’

এদিকে এক শোক বার্তায় আমির হোসেন আমু মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান অবিস্মরণীয়। গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীর গণমানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় বেঁচে থাকবেন। তার মতো একজন দেশপ্রেমিকের চলে যাওয়া জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত‍্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকও। রাতে এক শোকবার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলন সংগ্রামে তিনি তার গান দিয়ে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা তিনি।’

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে  শাসনবিরোধী গণআন্দোলনে তার গান দিয়ে শামিল হয়েছিলেন। কিংবদন্তি এই শিল্পীর মৃত্যু বাংলাদেশের গণসংগীতের জন্য এক অপূরনীয় ক্ষতি, যা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এই শিল্পের অবদান সংগীত জগতে ও দেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।’

শোকবার্তায় নানক ফকির আলমগীরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। 

এদিকে একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এক শোক বার্তায় ডিএনসিসির মেয়র জানান, বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ফকির আলমগীর ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

ডিএনসিসির মেয়র মরহুমের আত্মার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

পারভেজ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়