‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সত্য ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে’

মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসের সত্য ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে বিজয় দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাংলাদেশে যিনি প্রথম বলেছিলেন, উই রিভোল্ট, আমরা বিদ্রোহ করলাম, সেই মানুষটার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তিনি তার ইউনিটে ফিরে যান। তার কামান্ডার ছিলেন একজন পাঞ্জাবি অফিসার। তাকে বন্দি করে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান। তার কণ্ঠেই প্রথম আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি রেডিওতে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ এখন আইন করে কিংবা কোনো আদালত রায় দিয়ে যদি আমাকে বলে যে, তুমি নিজের কানে যা শুনেছ, সেটা বিশ্বাস করো না, আমি কিভাবে তা মানব? আমি তো কারো কাছ থেকে শোনা কথা বলছি না। আমি আমার নিজের কানে শোনা কথা বিশ্বাস করব না? কিন্তু আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসের সত্য ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমি বলব, অপচেষ্টা হচ্ছে। দেশকে এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত করতে হবে। যার যা প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে।’

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তোমরা সত্য জানার চেষ্টা করো। মনে রাখবে, জ্ঞান তা-ই, যা সত্য। মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়। যারা মিথ্যা জানাতে চায়, তারা আমাদের অজ্ঞানতার অভিশাপে আবদ্ধ করতে চায়। কাজেই সত্য জানার আবেগ ও উৎসাহ আরও জাগ্রত হোক।’

বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উপ-কমিটির আহ্বায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষযক সম্পাদক শিরিন সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন—মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, মেজবাহ আহমেদ, আবদুল বারী ড্যানি, আমিনুল ইসলাম, আবেদ রাজা, খান রবিউল ইসলাম রবি, ফরিদা ইয়াসমীন, মহসিন মন্টু, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, রীতা আলী প্রমুখ।