ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় না.গঞ্জে নির্বাচন করছে না জাপা: চুন্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১০ জানুয়ারি ২০২২  
উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় না.গঞ্জে নির্বাচন করছে না জাপা: চুন্নু

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় সেখানে আমরা প্রার্থী দেইনি। আর কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জন্য দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নাই। 

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে এ কথা বলেন তিনি।  আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান, নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী দেননি কেনো? আর তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন তাকে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছে। এর জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়, দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যকে আংশিক সঠিক বলে জানিয়েছেন তিনি।

চুন্নু বলেন, উনার বক্তব্য আংশিক সঠিক।  কারণ একটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনই যে এককভাবে দায়ী তা নয়, রাজনৈতিক দলের, ভোটারদের সবার দায়িত্ব। অনেক সময় দেখা যায়, নির্বাচন কমিশন চাইলেও পারে না যদি শাসক দলের লোকজন বিশেষ করে এক্সিকিউটিভ যারা তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে।

টাঙ্গাইল-৭ উপনির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা হচ্ছিল, নির্বাচনটা ফেয়ার হবে না।  কারণ গত কয়েক মাসে স্থানীয় সরকার যে নির্বাচন হয়েছে, বিশেষ করে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ। সেটা নির্বাচনের নামে একটা নৈরাজ্যের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  সেই নির্বাচনগুলোতে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি।  জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে অনেক প্রার্থী দিয়েছিল। আমাদের প্রার্থীদেরকে মারধর করা হয়েছে।  পিটানো হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে প্রশাসনের সাথে কথা বলে সুফল পাইনি।  শুধু এটাই না, গত কয়েক মাস আগে সিরাজগঞ্জে একটি উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর জামাকাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এসব উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে বিচ্ছৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা তাতে আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, মির্জাপুরের নির্বাচনটা ফেয়ার হবে না।  সেই কারণে আজকে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি যে, আপনার কমিশন গত পাঁচ বছর অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কাজ করেছেন। অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। আপনাদের সময়কালে এটিই হবে কোনো পার্লামেন্টের শেষ উপনির্বাচন। আল্লাহ না করুক কোনো আসন যদি কোনো কারণে শূন্য হয়, তাহলে সময়ে সীমাবদ্ধতার কারণে আপনারা আর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না। তাই বলেছি আপনাদের বিদায়ের বেলায় অন্তত পক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্বাচনটা যাতে নিরপেক্ষ হয়, আপনাদের সমস্ত শক্তি, আইনানুগ যে ক্ষমতা তা প্রয়োগ করে বিশেষ করে শাসক দলের কর্মী ও প্রশাসন শাসক দলের পক্ষে নির্লজ্জভাবে কাজ করতে চায়।  তাদের যেনো কন্ট্রোল করে।  নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি। নির্বাচন ফেয়ার করার জন্য যা যা করার দরকার তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। 

/হাসিবুল/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়