ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

লন্ডন থেকে হুমকি দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ১৫ মে ২০২২   আপডেট: ১৫:০৭, ১৫ মে ২০২২
লন্ডন থেকে হুমকি দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, `খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যিনি বিএনপি চালাবেন, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি লন্ডনে বসে ভোগবিলাসে মত্ত। রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছেন। লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে হুমকি দিয়ে এ দেশের ক্ষমতায় আসা যাবেনা।‘ 

রোববার (১৫ মে) দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বারে ও বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিরোধী দল ক্ষমতায় আসার জন্য হুমকি দিতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমরা দেখেছি বিএনপি ২০০৯ সাল থেকে শুরু করেছে, ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য হরতাল, অবরোধ দিয়েছিলো। নির্বাচনের দিনেও তারা অগ্নিসংযোগ করেছে। মানুষকে বাসের মধ্যে রেখে আগুন লাগিয়ে দগ্ধ করে মেরেছে। তারা যদি ক্ষমতায় যেতে চাই তাহলে তাদের মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে আসতে হবে। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাছাড়া ক্ষমতায় আসা যাবেনা।’ 

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করবো। গত ৮ মে আওয়ামী লীগের নির্বাহী সংসদের সভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। জনগণের কাছে যেতে বলা হয়েছে।’ 

চাষিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন,  ‘নোয়াখালীর পতিত জমিগুলোকে আবাদের আওতায় আনতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা । আপনারা স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন অধিক ফলনশীল এ জাতগুলো রবি ফসল কর্তনের পরপরই আবাদ করবেন। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দিতে বিএডিসি বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। জাতগুলো কৃষকের কাছে সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে।’ 

খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই ও আরো মজবুত করতে হলে চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড়ি প্রতিকূল এলাকার জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। পতিত জমিতে যারা চাষ করবে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকার একটি অন্যতম সমস্য।  লবনাক্ত জমিতে চাষ উপযোগী জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। লবণাক্ত এলাকায় লাউ, সীম, তরমুজ, সূর্যমুখী, মিষ্টি আলু ও সয়াবিন ফসলের ফলন ভালো হয়। এ ফসলগুলোর ক্রপিং প্যাটার্নে অন্তর্ভুক্ত করে চর এলাকার প্রত্যেকটি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরন ও বাণিজ্যিকীকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।  

এ সময় অন্যদের মধ্যে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক  শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, বিএডিসির সুবর্ণচর প্রকল্পের পরিচালক আজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মওলা সুজন/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়