খালেদার জীবন হুমকির মুখে, বিদেশ নেওয়ার আহ্বান ফখরুলের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বিদেশে চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। আজ আবারও চিকিৎসকরা তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ খবর জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া শুক্রবার (১০ জুন) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী দ্রুত তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেন। পরে রাত ৩টা ২০মিনিটে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন খালেদা জিয়ার একটা মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হাসপাতালে থাকতে থাকতে তার আরেকটা উপসর্গ অর্থাৎ সাফোকেশন শুরু হয়। ফলে তার শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তাই চিকিৎসকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তার এনজিওগ্রাম করেন। এনজিওগ্রামে দেখা গেছে, তার মেইন আর্টারিটা ৯৯ পারসেন্ট ব্লক। সেখানে সফলভাবে রিং পরানো হয়েছে। এর কারণে আপাতত তিনি হার্টের সমস্যা থেকে রেহাই পেলেন।
দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার বাইরে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন কি না— জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বহুবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ আবারও খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রমাণিত হলো, অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনো সরকারের কাছে আবেদনের বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে দলের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এটা কেবল আমাদের একার দাবি নয়, সারা দেশের মানুষের দাবি।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমি আবারও তাদের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার জন্য দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা আবারও বলছি, সব দায় কিন্তু এই সরকারকে বহন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মেয়া/বকুল
আরো পড়ুন