‘৯টি সফল সমাবেশ দেখে সরকার ভয় পেয়েছে’
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আগামীকালের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ এখন আর বিএনপির নেই, এখন এটা জনগণের সমাবেশ। দেশের বিভিন্ন বিভাগে আমাদের ৯টি সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াতে সরকার ভয় পেয়েছে। তাই, আগামীকালের সমাবেশ যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয়, সেজন্য যা যা করার দরকার, সব করছে সরকার।’
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সরকার কোনো কারণ ছাড়াই গত বুধবার বিএনপির অফিসের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা করে। বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে আহত হয়। এর মধ্যে কাফরুল থানার এক নেতা মকবুল পুলিশের গুলিতে মারা যান।’
তিনি অভিযোগ করেন, সেদিন রাতে পুলিশ বিএনপির মহাসচিবকেও অফিসে ঢুকতে দেয়নি। তারা নিজেরা অফিসে ঢুকে সব কক্ষের দরজা ভেঙেছে। ফাইল, চেকবই, টাকা এসব নিয়ে গেছে। অফিস থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও কয়েক শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ড. মোশাররফ বলেন, গতকাল সকালে পুলিশ মহাসচিবকে বিএনপির নয়াপল্টন অফিসের দিকে যেতে দেয়নি। ১০ তারিখের সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সরকার ও পুলিশ অনেক নাটক করেছে। একবার সোহরাওয়ার্দী, একবার মিরপুর বাঙলা কলেজে সমাবেশ করার জন্য বলেছে। ভেন্যুর চিঠি নেওয়ার জন্য ডেকে প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে আটক করেছে।
গতকাল রাত ৩টার পর পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রথমে বলে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরে দুপুরে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। এভাবে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করছে, যাতে আমাদের সমাবেশ সফল না হয়।
সবশেষে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজ দুপুরে অবশেষে পুলিশের তরফ থেকে কালকে আমাদের সমাবেশ করার জন্য গোলাপবাগ মাঠ বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা অন্য নয়টি সমাবেশের মতো কালকে ঢাকার সমাবেশও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, শামছুল হক টুকু, এ জেড এম ডা. জাহিদ, মো. শাহজাহান, মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
মেয়া/রফিক
আরো পড়ুন