ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শখে আলোকিত শিল্পীর জীবন

এনাম আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ৪ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৪:১০, ৪ এপ্রিল ২০২১
শখে আলোকিত শিল্পীর জীবন

অল্প বয়সে বিয়ের পর ছোট্ট সংসারে অবসর সময়ে শখের বসে সেলাইয়ের কাজ শিখতে শুরু করেছিলেন বগুড়ার শাহনাজ ইসলাম শিল্পী। স্বামী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় সংসারে আর্থিক অনটন ছিল না। কিন্তু শখ করে হাতের কাজ শিখেছেন। কাজটা করতেও খুব ভালো লাগতো। যে কারণে শখটাকে পেশা হিসেবে নিতে স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে বাড়িতেই শাড়ি-থ্রিপিসে সুইয়ের ফোঁড় তুলতে শুরু করেন।  

এক সময় ঘর থেকে ময়দানে গিয়ে শিল্পীর হাতের কাজ করা পোশাক বিক্রির স্বাদ জাগে। সেই স্বাদটাকে স্বামীর সহযোগিতায় বাস্তবে রূপ দেন শিল্পী। এরপর আর তাকে অন্য কারো প্রতি নির্ভরশীল হতে হয়নি। পোশাকের ব্যবসা রাতারাতি তাকে পরিচিত করে তোলে বগুড়া শহরে। ২০০৯ সালে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম মারা যান। এরপর তিন সন্তান নিয়ে তিনি একা হয়ে যান। কিন্তু দমে যাননি তিনি। পোশাকের ব্যবসার পাশাপাশি ২০১৩ সালে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসাতেও দ্রুত সাফল্য পান। কারণ সে সময় বগুড়ার জলেশ্বলীতলায় মাত্র দুটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। 

বগুড়াতে তিনিই প্রথম নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন। তাকে অনুসরণ করে জেলাতে বর্তমানে আরও ১৫ জন নারী বিভিন্ন স্থানে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি এই সফল নারী উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাইজিংবিডি ডটকমের বগুড়া প্রতিনিধি এনাম আহমেদ। শাহনাজ বলেছেন তার সফলতা, ব্যর্থতা ও প্রতিবন্ধকতার গল্প।   

এনাম আহমেদ: আপনার উদ্যোক্তা হওয়ার আগের গল্প জানতে চাই। 

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: গৃহিণী ছিলাম। আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল। কারণ আমার স্বামী সরকারি চাকরি করতেন। তিনি পিডিবির ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আমার বিয়েটা হয়েছিল যখন আমার বয়স ১৫ ছিল। তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। আমার দাদুর ইচ্ছেতেই বিয়েটা হয়।

এনাম আহমেদ: উদ্যোক্তা জীবনে এলেন কীভাবে?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: ছোটবেলা থেকে হাতের কাজ জানতাম। আর বাসায় বসে বসে কাজ করতাম। খুব ইচ্ছে ছিল বিজনেস করার। আমার স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাসাতেই শাড়ি এবং থ্রি-পিসে হাতের কাজ শুরু করেছিলাম। খুব সাড়া পাচ্ছিলাম বাসা থেকেই। আমার এক রিলেটিভ আমার থেকে অনেক হাতের কাজ করা শাড়ি কিনতেন। কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন। 

একবার তিনি আমার কাছে থেকে ১২শ’- ১৪শ’ টাকা দিয়ে হাতের কাজ করা শাড়ি নিয়ে ঢাকার বাণিজ্যমেলায় দুই হাজার, ২২শ’ টাকায় বিক্রি করছিলেন। সে সময় আমি তার সঙ্গে মেলাতে ছিলাম। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি আমার মাথায় কাজ করে। আমি যে শাড়িতে কষ্ট করে কাজ করে বিক্রি করছি ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায় সেই শাড়ি তিনি সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন দুই হাজার থেকে ২২শ’ টাকায়। তখন থেকেই আসলে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির বিষয়টি মাথায় আসে। 

এরপর ভাবলাম একটা দোকান করবো। ২০০৩ সালে আমার স্বামীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে একটা ছোট বুটিকস হাউজ করি। জলেশ্বরীতলায় ‘শখ’ নাম দিয়ে আমার প্রথম বিজনেসে আসা। আমি যখন আমার ‘শখ’ এর শো-রুম দেই, তখন বগুড়ায় হাতে গোণা কয়েকটি শোরুম ছিল। তখন বগুড়ার মেয়েরা রাস্তায় নেমে বিজনেস করবে এটা কল্পনাও করিনি।

এনাম আহমেদ: আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শখ’ দিলেন কেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: ওই যে শখের বসে সেলাই শিখেছিলাম। সেলাই করার খুব শখ ছিল। যে কারণে শখ নামটি দেওয়া।

এনাম আহমেদ: সফলতা কীভাবে পেলেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: বিজনেস শুরু করার পর অনেক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে অনেক মহিলা আমাকে অভিনন্দন জানালো। তারা বললো, আপনার দেখাদেখি আমরা কিছু একটা করতে চাই। আজ আপনি করছেন, আগামীতে আমরাও করবো। 

২০০৩ সালে আমি যখন এই জলেশ্বরীতলায় আমার শো-রুম চালু করি, তখন মাত্র দু’তিনটি শো-রুম ছিল। এখন আপনি গুণতে পারবেন না কতগুলো শোরুম হয়েছে। এই ১৭/১৮ বছর পর একটু খেয়াল করলে দেখবেন এখন পুরো শহরের মহিলারা চলে আসছে। রানার প্লাজা, মালতিনগর, জলেশ্বরীতলা এমনকি একটি লন্ড্রিতেও একজন মহিলা কাপড় ইস্ত্রি করেন। আমি যখন শুরু করেছি, তখন কিন্তু এতটা দেখিনি আমি।

এনাম আহমেদ: বগুড়াতে আপনিই প্রথম নারী হিসেবে কাপড়ের শো-রুম চালু করেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: না। ছিল আরও দু’একজন। আমি শুধু জলেশ্বরীতলা এলাকার কথা বলছি। এই এলাকায় সুতি সম্ভার আর রিমঝিম নামে মেয়েদের পোশাকের দুটো শো-রুম ছিল। এরা আমার কিছু দিন আগে ব্যবসা শুরু করে।

এনাম আহমেদ: সফলতা পেতে সময় কেমন লেগেছে?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: একদমই লাগেনি। উদ্বোধন করার পরপরই বিক্রি শুরু হয়েছিল। এই এলাকাটা একদম আবাসিক এলাকা ছিল। দোকানপাট খুব একটা ছিল না। আবাসিক এলাকায় যারা থাকতেন, তারাই আসতেন আমার কাছে পণ্য কিনতে। ছোট বাচ্চাদের হাতের কাজের জামার জন্য আমি খুব পরিচিত ছিলাম। এরপর ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের পোশাকের কালেকশন দিয়ে ১ বছরে আমার পোশাকের ব্যবসা দাঁড়িয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আমার শো-রুমটাকে আরও বড় করি।

এনাম আহমেদ: এখন আপনার ব্যবসা কয়টা?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: এখন আমার বিজনেস মূলত একটাই। রেস্টুরেন্টের বিজনেস। দুই বছর ধরে পোশাকের বিজনেসটি বন্ধ রেখেছি। আমার এই ‘শখ সিগনেচার ক্যাফে’টি গত তিন বছর আগে অন্য একটি জায়গায় ছিল। যেখানে আমি আমার স্বামীর পেনশনের টাকা ও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রায় ৪০/৫০ লাখ টাকার মতো ইনভেস্ট করেছিলাম। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আমিই প্রথম বগুড়ায় শুরু করি। 

অনেক ভালো ডেকোরেশন করেছিলাম ও খাবার-দাবারের মান ভালো হওয়ায় রেস্টুরেন্টটি প্রচার হতে সময় লাগেনি। প্রচুর কাস্টমার আসতো। কিন্তু ৫ বছরের মাথায় ওই বিল্ডিংটি ডেভেলপারের হাতে চলে যায়। বিল্ডিংটি ভাঙা পড়ে সঙ্গে আমার রেস্টুরেন্টটিও। ফলে আমার ইনভেস্ট করা ৪০/৫০ লাখ সম্পূর্ণ লোকসান হয়। এখান থেকে আমার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগছে। এছাড়া করোনার কারণেও আসলে এই মুহূর্তে সাহস পাচ্ছি না পোশাকের শো-রুমটি নতুন করে শুরু করার।

এনাম আহমেদ: হঠাৎ রেস্টুরেন্টের বিজনেস করার চিন্তা কীভাবে পেলেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: এটার একটা কারণ আছে। কাপড়ের বিজনেসটাতে তখন আমার ভালো ডাকনাম ছিল। অনেক সুনাম অর্জন করেছিলাম। ‘শখ’ নামে দোকানটা খুব চলতো। কিন্তু এক সময় ঢাকার বিভিন্ন শো-রুম এছাড়া বগুড়ারও আরও বেশ কিছু প্রতিযোগী বেড়ে যায়। তখন চিন্তা করছিলাম আরেকটি যদি কিছু করা যায়। এর মাঝে আমার ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কানাডায় পাঠাই। সেই সুবাদে কানাডায় ঘুরতে যাই। সেখানে আমার চোখে পড়েছিল সেখানকার নারীরা রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছিল। তারপর ছেলের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করার পর ছেলের উৎসাহ পেয়ে দেশে এসে ‘শখ সিগনেচার ক্যাফে’ নামে রেস্টুরেন্ট বিজনেস শুরু করি। এই বিজনেসটিও আমার রাতারাতি খুব সফলভাবে চালু হয়ে যায়। সে সময় দুটো চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল, একটি ফুডপার্ক ও একটি আমার শখ সিগনেচার ক্যাফে।

এনাম আহমেদ: পেশায় যুক্ত হওয়ার পরের প্রতিবন্ধকতাগুলো জানতে চাই।

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: একটি মেয়ে রেস্টুরেন্ট বিজনেস করবে সেটিও আবার ভরা মহলে, সফলতার পাশাপাশি কিছুটা ব্যাডলাক তো আছে। বিশেষ করে মানুষের মুখের কথা। ধরুন, আমাদের সমাজে সবাই যে সবকিছু ভালো চোখে দেখবে, এটা কিন্তু না। কেউ কেউ এটিকে অনেক নেগেটিভলিও দেখেছে। এটাকে নিয়ে অনেক রকম গল্প, সমালোচনা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আমি থামিনি। কারণ আমার তখন অবস্থা এমন ছিল আমি করবোই। কারণ আমার তো সংসার চালাতে হবে। 

আমার স্বামীও মারা গেছে। আমার বাচ্চারাও ছোট। ওদের খরচ কেউ তো দেয়নি। আত্মীয়স্বজন বলতে কেউ নেই। যার কারণে আমাকে বিজনেসে থাকতেই হবে। সুতরাং আমি কারো কথায় কান দেইনি। আমি আমার মতো এগিয়ে গেছি।  

এনাম আহমেদ: প্রতিবন্ধকতাগুলোকে কীভাবে এড়িয়ে গেছেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: চুপচাপ থেকেছি। যার যেটি বলার বলুক। আমার কিচ্ছু যায় আসে না। এরকম একটি মানসিকতা তৈরি করে বিজনেস চালিয়ে গেছি। এখনো কারো ধার ধারি না। কারণ এটা চলবেই।

এনাম আহমেদ: আপনি রেস্টুরেন্টের খাবার কী কী রান্না করতে পারেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: হ্যাঁ সব পারি।

এনাম আহমেদ: ব্যবসার পরিধি বাড়ানো বা অন্য কোনো ব্যবসায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: অন্য কোনো ব্যবসার পরিকল্পনা নেই। তবে আমার পোশাকের শোরুম ‘শখ’ যেটি এখন বন্ধ আছে। এটি পুনরায় চালু করতে চাই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। কারণ এটি আমার মাদার বিজনেস। এটি থেকেই আমি এতটা পরিচিতি পেয়েছি।

এনাম আহমেদ: কাপড়ের বিজনেস এবং রেস্টুরেন্ট বিজনেস এই দুটোর মাঝে কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: রেস্টুরেন্টের বিজনেসকেই প্রাধান্য বেশি দেই। কারণ, ব্যবসা শুরু করার পর এটাতে ইনভেস্ট খুব কম এবং প্রফিট দ্রুত পাওয়া যায়। যেমন আমি রেস্টুরেন্টে সকালে ইনভেস্ট করলাম, সেই টাকা রাতে উঠিয়ে নিয়ে আসতে পারি। কিন্তু কাপড়ের বিজনেসে একবারে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। যে টাকা উঠাতে এক-দুই বছরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তারপরেও ইনভেস্টের পুরোপুরি টাকা বের হয় না।

এনাম আহমেদ: এখন নারীরা ব্যবসায় আসতে চাইলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: আসলে সব জিনিসেরই প্রথম দিকে যে সমস্যাগুলো থাকে পরে এসে কিন্তু সেই সমস্যাগুলো আর দেখা দেয় না। আমরা যে যুদ্ধটা করে নেমেছি প্রথম দিকে আমাদের পরের জেনারেশন আনন্দের সাথে আছে। তারা হাসিখুশির সাথেই চলছে। তাদের এতটা সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমাদের সময় ভরা মহলে নারীদের ব্যবসায় আসাটা খুব কঠিন ছিল। 

কিন্তু ২০২১ সালে এসে এটা সবার কাছে সহজ হয়ে গেছে। এটাকে এখন সবাই সহজভাবেই নিতে পারে। কাজেই আমরা যেটা সাফার করে এসেছি। এখন যারা আসবে তাদের সেই সাফারটা করতে হবে না। এখন তারা মাথা উঁচু করেই করতে পারবেন। কারণ তাদের ওই রাস্তাটা আমরা তৈরি করে দিয়েছি।

এনাম আহমেদ: কোনো নারী যদি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের বিজনেস শুরু করতে চান, তাহলে তার প্রস্তুতি কেমন থাকা উচিত?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: সর্বপ্রথম যেটি দরকার, সেটি হলো পুঁজি। এটা অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব না। মিনিমাম ২০/৩০ লাখ টাকা লাগবেই। দ্বিতীয় ধাপে দরকার সাহস। কারণ এখানে টিকে থাকতে হলে সব রকম প্রস্তুতি থাকতে হবে। পাবলিক মেইনটেন, ভ্যাট ট্যাক্স, স্টাফ বিল সম্পর্কে ভালো করে জেনে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের জন্যই সুবিধা। 

আমরা যখন বিজনেসে আসি, তখন এসবের কিছু জানতাম না। সমস্যায় পড়ে পড়ে শিখতে হয়েছে। আমার এখানে হেড শেফ, অ্যাসিসটেন্ট শেফসহ ওয়েটার মিলে ১৭ জন স্টাফ কাজ করছে।

এনাম আহমেদ: করোনা আপনার বিজনেসে কেমন প্রভাব ফেলেছে?

শাহনাজ ইসলাম শিল্পী: খুবই প্রভাব ফেলেছে। করোনার শুরুর দিকে মানে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে টানা ৬ মাস পর্যন্ত আমার রেস্টুরেন্ট পুরোটাই তালাবদ্ধ ছিল। এরপর একটু ঠিক হয়েছিল। তারপরেও তো রেস্টুরেন্ট যে সময় চালু করি তখন যেরকম বিজনেস করেছি এখন সেরকম বিজনেস করা সম্ভব হয় না। কারণ জলেশ্বরীতলায় প্রচুর চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হয়েছে। 

আগেই বলেছি, আমি যখন রেস্টুরেন্ট দেই, তখন শুধু আমারটা আর ফুডপার্ক নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। এখন প্রতিযোগী অনেক। এছাড়া এখন তো নতুন করে করোনা বাড়তে শুরু করেছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজনেস পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। চেয়ার টেবিলগুলোও ফাঁকা ফাঁকা করে বসানো হয়েছে। কিন্তু এখন থেকেই লোকজন কমতে শুরু করেছে। আবার কী হবে বলতে পারছি না।

বগুড়া/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়