গরুর ফার্মে আলাউদ্দিন বেপারির ভাগ্যবদল
অমরেশ দত্ত জয় || রাইজিংবিডি.কম
চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে গরুর ফার্ম দিয়ে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন মো. আলাউদ্দিন বেপারি। মাত্র ১০টি গরু দিয়ে শুরু করা তার ফার্মে এখন নানা জাতের ২৭টি গরু রয়েছে।
১২ জুলাই সোমবার এক সাক্ষাৎকারে আলাউদ্দিন বেপারি রাইজিংবিডিকে বলেন, যখন যা পেতাম তাই করতাম। পরে জমানো কিছু টাকা থেকে নিজেদের ৫৮ শতাংশ জমিতে গরুর ফার্ম দিলাম। আর এই ফার্মটির নাম দিলাম জৈণপুরী ডেইরি ফার্ম। এটি লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের তিন তালগাছ এলাকার বেপারি বাজারে অবস্থিত।
তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশি, বিদেশি গরু কিনে এসে ফার্মে রাখা হয়। যা ৪/৫ মাসের ব্যবধানে খৈল, ভূষি, ঘাসসহ সাধারণ খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করে বিক্রির উপযুক্ত করা হয়। এক একটি গরুর পেছনে লেবার, কারেন্ট বিল ও খাওয়া-দাওয়াসহ মাসে গড়ে ৬ হাজার টাকার মতো খরচ ধরা হয়।
তার ফার্মটি ৫০টি গরু ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। সারাবছর বেচাকেনা করে দুটি গাভীসহ এখনো ২৭টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ২৩টি গরু বিক্রির উপযুক্ত করা হয়েছে। যেগুলো লাখ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন বেপারি আরও বলেন, মূলত মাংসের ওপর নির্ভর করে গরুর দাম। রমজানের ঈদ ও কোরবানির ঈদে গরু একটু বেশি বিক্রি হয়। তবে বিয়ে ও সামাজিক নানা কাজেও আমরা গরু বিক্রি করে থাকি। এখানে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হয় বলে মানুষ এই ফার্মের গরুর ওপর ভালো আস্থা রাখেন। আমরাও চেষ্টা করি ন্যায্য দামে গরুগুলো বিক্রি করতে।
তিনি ক্রেতাদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাটে না গিয়ে খামারিদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে দয়া করে গরু কিনুন। এতে মহামারি ছড়িয়ে যাওয়া থেকে সবাই নিরাপদে থাকবে। নিরাপদে খামারে আসুন এবং গরু কিনে শান্তিতে সবাইকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করুন।
চাঁদপুর/মাহি
আরো পড়ুন