ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতলে কর্মসংস্থান 

মো. শামীম কাদির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ১৪ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৫:৪০, ১৪ জুলাই ২০২১
ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতলে কর্মসংস্থান 

পরিত্যক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী জয়পুরহাটে বেকারদের আশার আলো দেখাচ্ছে। স্থানীয় যুবকরা বেকার বসে না থেকে এসব প্লাস্টিকসামগ্রী সংগ্রহ করে আয় করছেন। এমন উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন বেকার যুবক রুহুল আমিন। তিনি এসব পরিত্যক্ত প্লাস্টিক প্রসেস করে পাঠাচ্ছেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। এ থেকে আবারও তৈরি হচ্ছে বস্তা, সুতা, কাপড়, খেলনাসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের নতুন সামগ্রী।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোয়ানীঘাট এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে একবছর আগে ৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এক একর জায়গা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন প্লাস্টিকের কারখানা ‘রুহুল আমিন ট্রেডার্স’। তিনি প্রথমে মাত্র ১০ থেকে ১২ জন নিয়ে শুরু করেন এই কারখানার কাজ। এরপর পর্যায়ক্রমে এতে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও  অসহায় ২০ জনের। জেলার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক ভাঙারিওয়ালাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। সেসব প্লাস্টিক মেশিনে ভাঙিয়ে পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। পরিত্যক্ত পণ্যে এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন দেখাচ্ছে বেকার যুবকদের।

প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শ্রমিক রহিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন অনেক দিন থেকে। একমাত্র ছেলে ছিল সেও মারা গেছে। এতে আমার পরিবারে দুর্দিন চলছিল। এ অবস্থায় কারখানায় কাজ পেয়ে সংসারের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে পেরেছি।

আসলাম ফকির নামে এক শ্রমিক বলেন, এই কারখানা তৈরি অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। এখানে কাজ করে আমার মতো এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

ভাঙারি ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, এসএসসি পাস করার পর করোনার কারণে সেই থেকে কলেজ বন্ধ রয়েছে। এজন্য বেকার বসে না থেকে নিজে কিছু করার জন্য এবং এলাকার কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেই। প্রথমে এখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে এখানে ২০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন, এখান থেকে প্রতিমাসে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ টন ক্লাটিং করা প্লাস্টিক। এসব থেকে এখানে সরাসরি পণ্য উৎপাদন করা গেলে আরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো এবং সরকারও রাজস্ব পেতো। কিন্তু এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই সরকারি সহযোগিতা পেলে এ কার্যক্রম আরও বাড়ানোর আশা আমার।

জয়পুরহাট/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়