তিন গুণে গুণান্বিত আবির
সাজেদুর আবেদীন শান্ত || রাইজিংবিডি.কম
আবির হোসেন
দেশ এখন ডিজিটাল। আর ডিজিটাল মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকছেন তরুণরা। যারা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন, তারাই সফল। এমন একজন তরুণ আবির হোসেন। তিনি ডিজিটালের আশির্বাদকে কাজে লাগাতে পেরেছেন পুরোপুরি। তাইতো তিনি খুব অল্প বয়সেই ‘ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
আবির ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার ছোট্ট একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো. আলতাফ হোসেন ছিলেন কন্ট্রাক্টর এবং মা মনিরা বেগম একজন গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে আবির তৃতীয়। বর্তমানে তিনি আলহাজ ফরহাদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। খুব অল্প বয়সেই তিনি ‘কনিষ্ঠতম উদ্যোক্তা’ খেতাব অর্জন করেছেন।
আবির এমন একটি পটভূমি থেকে এসেছেন, যার ডিজিটাল বিপণন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। তিনি তার সমস্ত অনিরাপত্তাকে স্থায়ী প্রতিশ্রুতিতে পরিণত করেছিলেন। এখন তিনি যে ক্ষেত্রে কাজ করেন, সেখানে তিনি সুপরিচিত। এছাড়াও আবির ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক তৈরি করতে ভালোবাসেন।
তিনি বলেন, আমার প্রিয় সংগীতশিল্পী এলন অলকার। আমি সবসময় তাকে দেখে শেখার চেষ্টা করি। নতুন নতুন টিউন বানানোর চেষ্টা করি। চেষ্টার মাধ্যমে আমার সংগীতকে আরও সজীব করতে চাই। আমার মনে হয় আমার আরও শিখতে হবে এবং আমি সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি।
আবির এপর্যন্ত মোট ২০টি মিউজিক তৈরি করেছেন। তার ‘স্যাড ফর ইউ‘ মিউজিকটি সামাজিক মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য কিছু মিউজিক হলো- আই এম স্টিল এলন, আই হোপ উই মিট এগেইন, ক্লাউডি স্কাই, আইটেম বোম ইত্যাদি। তিনি তার তৈরি করা মিউজিক বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই গুগল তাকে বাংলাদেশি মিউজিশিয়ান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পোটাইফাই, আইটিউনস, অ্যাপল, অ্যামাজন, টিডাল, ডিজারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে তার মিউজিকগুলো সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি চেষ্টার মাধ্যমে তার সংগীতকে আরও সজীব করতে চায়।
আবির হোসেন বিশ্বাস করেন, সাফল্যের সহজ কোনো পথ নেই। একাগ্রতা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়েই সফল হওয়া যায়। মানুষের কর্মে যেখানে সত্যতা নেই, সেখানে কর্মের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নেই এবং আসল সাফল্য খুঁজে পাওয়া যায় না। সকল কাজের শুরুতেই বাধার মুখোমুখি হতে হয়, তবে সেগুলো অতিক্রম করা শিখতে হবে।
লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী।
/মাহি/
আরো পড়ুন