ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বীজ বপনে ব্যস্ত হিলির আলু চাষিরা

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ২৪ নভেম্বর ২০২১  
বীজ বপনে ব্যস্ত হিলির আলু চাষিরা

ছবি: রাইজিংবিডি

অগ্রহায়ণ মাস। দিনাজপুরের হিলিতে আলুর চাষ শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে আলুর বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আমন ধান প্রায় কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। আলু চাষে সার বেশি প্রয়োজন, জমি তৈরি করার সময় পর্যাপ্ত সার প্রয়োজন। তবে সারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন আলু চাষিরা। এদিকে, কৃষি অধিদপ্তর বলছে, ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার রয়েছে।

হিলির বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, চলতি আমন ধানের কাটা-মাড়াই শেষের দিকে। আর আমন চাষিরা ধান কেটে ওই জমিই আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। এছাড়াও অনেক জমিতে আলুর বীজও বপন করতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। 

জমি তৈরি করতে বিঘাপ্রতি ৩৩ কেজি ইউরিয়া, ৩৫ কেজি ফসফেট, ৩৩ কেজি পটাস, ৬৬ কেজি ডেপ, জৈব সার বিঘাপ্রতি ২ টলি, বিভিন্ন কীটনাশক ২ কেজি ও ভিটামিন জিংক ৫ কেজি প্রয়োগ করছেন তারা। বিঘাপ্রতি দেশি আলুর বীজ ৪ মণ ও কার্ডিনাল আলুর বীজ ৫ মণ বপন করছেন তারা। 

এক বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে দেশি জাতের আলু হবে ৭০ থেকে ৮০ মণ, আর কার্ডিনাল জাতের আলু উঠবে ১০০ থেকে ১২০ মণ। জমি তৈরি থেকে আলু তোলা পর্যন্ত চাষ করতে খরচ কৃষকদের ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। ৯০ দিনের মাথায় আলু তুলতে শুরু করবেন কৃষকেরা। তবে দাম ভালো পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক ৭৫ দিন নাগাদ আলু তুলে থাকেন। 

হিলির হরিহরপুর গ্রামের আলু চাষি ইমরান আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমন ধান কাটার পর এই জমিতে আলুর চাষ শুরু করেছি। গতবারও ভালো ফলন পেয়েছি, এবারও ভালো ফলনের আশায় বীজ বপন করতে শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে আলুর ভালো ফলন পাবো। তবে টিএসপি ও ফসফেট সারের সংকট দেখা দিচ্ছে। সার সরবরাহ ঠিক মতো পেলে আলু চাষে আমরা আরও আগ্রহী হতাম।

হরিহরপুর গ্রামের চাষি আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আড়াই বিঘা জমির আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ। এই আড়াই বিঘাতেই আলুর চাষ করেছি, প্রয়োজনীয় সব সার দিয়ে মাটি তৈরি করা শেষ করে বীজ বপন করছি। অল্প জমি, তাই নিজেরাই কাজ করছি। আল্লাহ দিলে ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবো।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, মাঠে এখনো কিছু আমন ধান কাটা বাকি আছে। কৃষকেরা আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করেছেন। গতবারও আলুর ফলন ভালো ছিল, এবারও ভালো ফলনের আশায় আমন চাষিরা আলু চাষে মনোনিবেশ করেছেন। আমরা কৃষকদের সেবা দিয়ে আসছি। আশা করি কাঙ্ক্ষিত ফলন তুলতে পারবে কৃষকেরা।

তিনি আরও বলেন, আলু চাষের জন্য হিলির তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৯টি সারের ডিলার আছে। তাদের নিকট পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সংকট হবে না। তবে যদি কোনো সারের ডিলার অনিয়ম করে, তাহলে আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

/মাহি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়